লিড নিউজ

পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পানসে সংবর্ধনা

 

সিলেট প্রতিনিধি : কটুক্তিবাজ তেলবাজ বিএনপি মেয়র পররাষ্ট্রমন্ত্রী কে সংবর্ধনা দেয়া নিয়ে নানা সমালোচনা চলছে। অভিযোগ উঠেছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পানসে সংবর্ধনা নিয়েও। বলা হচ্ছে, আওয়ামী লীগ নিয়ে কটুক্তি করে ভাল সাজতে চাচ্ছেন মেয়র আরিফ। কথা উঠেছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দেয়া সংবর্ধনা ডায়াসে এসএমপি পুলিশের দুই বডিগার্ড নিয়েও। সংবর্ধনা মঞ্চ স্থলে সিলেটের সিনিয়র সিটিজেনদের রাখা উচিত ছিল মেয়রের। এতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সংবর্ধনা জৌলুষ বাড়তো। কিন্তু সিলেট মেয়র সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানটিকে মর্যাদাপূর্ণ না করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী’র গুরুত্ব কে হালকা করে ফেলেছেন।

আওয়ামী লীগ নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ এনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দেয়া সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নাগরিক সংবর্ধনা বর্জন করেছে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। তবে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের বেশকিছু নেতাকর্মীসহ পেশাজীবী সংগঠন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা এতে উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার বিকেলের দিকে নগরীর রেজিস্ট্রি মাঠে সিলেট সিটি কর্পোরেশন থেকে নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। এ সময় আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের জন্য গৌরব বয়ে আনা ও সিলেটবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ঢাকা-সিলেট ছয় লেন মহাসড়ক এবং নগরীর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে বিশেষ অবদানের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনকে এ সংবর্ধনা দিয়েছে সিসিক।

এ অনুষ্ঠান বর্জনের বিষয়ে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ নিয়ে মেয়র (আরিফ) যে শব্দ উচ্চারণ করেছেন তা প্রত্যাহারের জন্য বলা হয়েছিল। মাসিক পানির বিল দ্বিগুণের বেশি বাড়ানো হয়েছে। সেটাও প্রত্যাহারের জন্য দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি এর সুরাহা করেননি। তাই এ সভা বর্জন করেছে আওয়ামী লীগ।

জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী জানান, পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে যে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে তারা বিরুদ্ধে নন। তারা মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর কার্যকলাপের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি আওয়ামী লীগ নিয়ে কটূক্তি করেছেন এবং বিভিন্ন গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এর প্রতিবাদে তারা মেয়রের আয়োজিত সভায় না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এ বিষয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, আমিতো আওয়ামী লীগের কোনো প্রোগ্রাম করিনি, এটা ছিল সিটি কর্পোরেশনের প্রোগ্রাম। এখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রীও ছিলেন, তাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা কেনো এটা বর্জন করলেন সেটা তারাই জানেন। বিভিন্ন সংগঠনকে দাওয়াত দেয়া হয়েছে, কিন্তু তারা (আওয়ামী লীগ) আসেনি।

 

 

সংশ্লিষ্ট খবর

Leave a Reply

Back to top button