হাওলাদারের ২০০ কোটি
বিশেষ প্রতিনিধি : জাতীয় পার্টি নেতা হাওলাদারের ২০০ কোটি টাকা নয় ছয়ে তোলপাড় চলছে। জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হাওলাদারের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাবে ২০০ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব লেনদেনের বিষয়ে উৎস ও ব্যাখ্যা জানতে এরই মধ্যে রুহুল আমিন হাওলাদার ও তার স্ত্রী সংসদ সদস্য নাসরিন রত্নাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারিতে সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য ধরা পড়লে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে দুদককে অনুরোধ করা হয়। এরপর দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমানের দেয়া এক তলবি নোটিশে তাদের তলব করা হয়। এতে সোমবার দুদকে হাজির হয়ে লেনদেনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ‘গত ১০ নভেম্বর রুহুল আমিন হাওলাদারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ-সংশ্লিষ্ট বক্তব্য প্রদানের জন্য দুই মাস সময় দেয়া হয়। দুই মাস সময় দেয়ার পর কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১০ জানুয়ারি কমিশনে উপস্থিত হয়ে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তার কাছে বক্তব্য প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হলো।’
এর আগেও বেশ কয়েকবার তলব করা হয়েছিল এই দম্পতিকে। প্রতিবারই নানা অজুহাতে এড়িয়ে গেছেন তারা। এমনকি দুদকে যেন আসতে না হয়, সে জন্য উচ্চ আদালতেও যান তারা।সর্বশেষ গত আগস্টে তাদের তলব করা হলেও এই দম্পতি সময় চেয়ে আবেদন করেন। তখন তাদের দুই মাস সময় দেয়া হয়।
সরকারি সম্পদ আত্মসাতের মাধ্যমে শতকোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে ২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রুহুল আমিন হাওলাদারকে প্রথম দফায় তলব করে দুদক। কিন্তু সে সময় নির্বাচনের প্রস্তুতির কারণ দেখিয়ে দুদকে হাজির না হয়ে হাজিরা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন তিনি। পরে ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ তাকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়। সে সময় তিনি যাননি ওমরাহ করার কারণ দেখিয়ে।
ওই সময় দুদকের নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করলে আদালত প্রাথমিক শুনানি নিয়ে চার সপ্তাহের জন্য দুদকের তলব স্থগিত করে দেয়। ২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল সে স্থগিতাদেশটি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ স্থগিত করে দেয়। ফলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে দুদকের আর কোনো আইনি বাধা না থাকায় ফের তলবের নোটিশ দেয়া হয়।