বিশেষ প্রতিনিধি : ভারতে যাবার হিড়িক পড়েছে বাংলাদেশীদের। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরের ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রগুলোতে সাহরির পর থেকে আবেদনকারীদের দীর্ঘ লাইন দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ-ভারত যাত্রী যাতায়াতের জন্য স্থলবন্দর খুলে দেওয়ার পর ভিসা আবেদন কয়েক গুণ বেড়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভারতে যাওয়ার জন্য প্রতিদিন প্রায় আট হাজার ভিসা আবেদন জমা পড়ছে। গত বুধবার এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১১ হাজারে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ভিসা আবেদন জমা দেওয়ার বুথ, জনবল বাড়ানোর পাশাপাশি ভিসা আবেদনকেন্দ্রের কর্মঘণ্টা বৃদ্ধি করতে হয়েছে।
ভারতীয় ভিসা আবেদনকেন্দ্রের (আইভ্যাক) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ১২টি ক্যাটাগরিতে ভারতীয় ভিসা আবেদন করা যায়। এগুলো হলো ট্যুরিস্ট, ট্রানজিট, ডাবল এন্ট্রি ট্রানজিট, বিজনেস, স্টুডেন্ট, এমপ্লয়মেন্ট, মেডিক্যাল, ডাবল এন্ট্রি, জার্নালিস্ট, রিসার্চ, এন্ট্রি ও সেমিনার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, গত মাসের হিসেবে দেখা গেছে, আবেদনকারীদের প্রায় ৭৫ শতাংশ পর্যটন ভিসা চেয়েছে। এর আগে মেডিক্যাল ভিসার আবেদন ছিল বেশি। সাধারণত ঈদের সময় একশ্রেণির মানুষ কেনাকাটা ও ভ্রমণের জন্য ভারতকে বেছে নেয়।
ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, ভারতীয় ভিসাপ্রত্যাশীদের বর্ধিত চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকমিশন ভিসাসংশ্লিষ্ট কাজের সময় বাড়িয়েছে। এখন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভিসা আবেদনকেন্দ্র খোলা থাকবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভিসা আবেদন জমা দেওয়া যাবে। ভিসা বিতরণের সময় (আবেদনকারীদের জন্য পাসপোর্ট সংগ্রহ) বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা। ভিসা আবেদন কাউন্টারে অতিরিক্ত কর্মী দেওয়া হয়েছে। প্রবীণ নাগরিক ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
২০২০ সালের মার্চে কভিড মহামারি শুরুর পর ভারত সারা বিশ্বে সব ধরনের ভিসা স্থগিত করেছিল। পরিস্থিতি উন্নতির পর ভারত পর্যটক ছাড়া অন্যান্য ক্যাটাগরিতে নতুন করে ভিসা ইস্যু শুরু করে। এরপর কভিড পরিস্থিতির অবনতি ও উন্নতির পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন সময় সীমান্ত বন্ধ ও চালু করা হয়। প্রায় ১৯ মাস পর গত ১৫ অক্টোবর থেকে ভাড়া করা ফ্লাইটে এবং ১৫ নভেম্বর থেকে বাণিজ্যিক ফ্লাইটে করে ভারতে পর্যটকরা প্রবেশের সুযোগ পায়।
গত ১৮ মার্চ ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন দীর্ঘমেয়াদি পর্যটক ভিসাগুলো পুনর্বহালের ঘোষণা দেয়। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও গত ২৩ মার্চ ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে আসতে পর্যটক ভিসা চালু করার নির্দেশনা দিয়েছে। বর্তমানে বড় স্থলবন্দরগুলো দিয়ে যাত্রী আসা-যাওয়া করছেন।