রাজনীতি

গণতন্ত্রের আকাশে ঘনঘটা চলছে: জাফরুল্লাহ

 

 

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশের গণতন্ত্রের আকাশে ঘনঘটা চলছে। আগামী নির্বাচনেও ভোট কারচুপি হবে এবং এর মধ্য দিয়ে সরকার ভোট কারচুপিতে হ্যাটট্রিক করতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন,সরকার আগামী নির্বাচনে ভোট কারচুপির হ্যাটট্রিক করতে যাচ্ছে। প্রথমবার বিনা ভোটে, দ্বিতীয়বার রাতের ভোটে আর এবার ইভিএমে। এতে ভোট যাতেই দেন ভানুমতির খেলায় ভোট গিয়ে নৌকাতে পড়বে। রোববার দুপুরে রাজধানীর পল্টনে গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ’ আয়োজিত এক আলোচনা ও মত বিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমার শ্রদ্ধা, ভালোবাসা আছে, দুঃখও আছে। তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, তাহাজ্জুদের নামাজ পড়েন তারপর বুদ্ধি খাটান কীভাবে ভোট করা যায়। আপনি যদি সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারেন তাহলে ভালো। আর না দিতে পারলে আপনার নৈতিক দায়িত্ব হবে পদত্যাগ করা। সঠিক কাজটি করতে না পারলে অন্তত ভুল কইরেন না।

তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর ২০০ দেশে প্রায় দেড় কোটি প্রবাসী। তাদের শ্রমে ঘামে আমাদের দেশ গড়া। এই প্রবাসীরাও মুক্তিযোদ্ধা। আমরা যুদ্ধ করেছি দেশ স্বাধীন করার জন্য। আর প্রবাসীরা যুদ্ধ করছে দেশ গড়ার জন্য। আমি আহ্বান জানাবো প্রবাসীরা দেশে আসলে তাদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা ভাতার ব্যবস্থা করা হোক। তাদের প্রতি আরও একটু ভালো ব্যবহার করা হোক। এদের অনেক ঝামেলার সঙ্গে আছে পাসপোর্টের ঝামেলাও। এসব সমস্যা দূর করতে হলে প্রয়োজন একটি গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা।

এসময় গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া বলেন, ভোটচুরি, গুম, হত্যা আর কত অপরাধের কথা বলতে হবে? আপনারা সামনে বা পেছনের দরজা না, জানালা ভেঙে ঘরে ঢুকেছেন। আমাদের সবার একত্রে রাস্তায় নেমে এই সরকারের পতনের দাবিতে আন্দোলন করতে হবে।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞেস করেছেন তাঁদের অপরাধ কি? বিদেশে বাঙালিদের লাশ পড়ে থাকে, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় কি করে? চলে যেতে বলছি কেন? ১৩ বছর ধরে বিনা ভোটে ক্ষমতায় আছেন। এবার মেহেরবানি করে নামেন। এই সরকারের অধীনে কেউ নির্বাচনে যাবে না। যারা এর অধীনে নির্বাচন করবে তারা জাতীয় বেইমান।

গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা না থাকায় বিদেশের শ্রম বাজারে তার প্রভাব পড়ছে। বিভিন্ন বন্ধুপ্রতিম দেশগুলো বাণিজ্যিক সম্পর্কের বিষয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য হচ্ছে। সরকারের দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতির ফলে দেশ একটি বড় সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে। মনে রাখবেন, নগর পুড়লে দেবালয় বাদ যায় না। এই সরকারের ওপর মানুষের আর কোনো আস্থা নেই।

বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য মো. হাওলাদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবলু, মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাতসহ প্রমুখ।

 

সংশ্লিষ্ট খবর

Leave a Reply

Back to top button