সাংবাদিকতা গভীর সংকটে-বহু আইনে নাকাল গণমাধ্যম
বিশেষ প্রতিনিধি : দেশের সংবাদপত্রশিল্প এখন বড় সংকটে। একদিকে রয়েছে আর্থিক সংকট, অন্যদিকে আছে আইনি বাধা। মূল কাঁচামাল নিউজপ্রিন্টের এক টনের দাম ৫৭০ মার্কিন ডলার থেকে ১ হাজার ৫০ ডলার হয়েছে দেড় বছরে। এ কারণে এ শিল্প এখন রুগ্ণ শিল্পে পরিণত হয়েছে। প্রচারসংখ্যা ও বিজ্ঞাপন কমে যাওয়ায় কমে গেছে আয়।নিউজপ্রিন্টের দাম বেড়ে যাওয়ায় ব্যয় বেড়েছে। এর মধ্যে আবার আছে নানা ধরনের করের বোঝা। আবার সংবাদপত্রকে সেবাশিল্প হিসেবে ঘোষণা করা হলেও শিল্পের সুবিধা পাচ্ছে না এ খাত। তাই এসব সংকট সমাধানে আসন্ন বাজেটে সংবাদপত্রের ওপর বিভিন্ন ধরনের কর প্রত্যাহার বা কমাতে হবে। এ ছাড়া আইনি বেড়াজাল থেকে মুক্তি দিতে হবে সংবাদপত্রকে।
সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে সংবাদপত্রের মালিক, সম্পাদক, সাংবাদিক নেতা, ব্যবসায়ী, অর্থনীতিবিদ, শিক্ষক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এসব কথা বলেন। আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘আসন্ন বাজেট এবং সংবাদপত্রশিল্পের সমস্যা ও সংকট’ শীর্ষক এই গোলটেবিল বৈঠক হয়।অনুষ্ঠানে প্রায় সবাই উত্থাপিত সংকটের সঙ্গে একমত পোষণ করেন এবং সমাধানে সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন নোয়াবের সদস্য ও বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ।
আলোচনায় উঠে আসা গণমাধ্যমের সমস্যার সমাধানে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার বলে মনে করেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক। এ সময় বিভিন্ন জেলার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, একটি জেলা শহরে গেলে দেখা যায় অনেক পত্রিকা আছে। কিন্তু কোনোটাই নিয়মিত ছাপা হয় না। মানে পত্রিকার মালিক, সম্পাদক ও সাংবাদিক ওই নাম নিয়ে সমাজে পরিচিত হচ্ছেন এবং তাঁরা ওই নাম ব্যবহার করে ‘অন্যভাবে’ কিছু আয় করার চেষ্টা করছেন। এমনকি প্রেস কাউন্সিলের ট্রাইব্যুনালে বসার সময় দেখা যায় তিন মাসেও পত্রিকা বের হয় না। কিন্তু সেই পত্রিকা দৈনিক পত্রিকা। এগুলো বন্ধ করা দরকার। এতে ভুয়া মালিক ও সাংবাদিকের হাত থেকেও মুক্ত হওয়া যাবে।
নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, সংবাদপত্রশিল্প একটু ব্যতিক্রমী ধরনের। এ শিল্পের সমস্যা দীর্ঘদিনের। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) বুঝিয়ে বলে এলেও কিছু বাস্তবায়িত হচ্ছে না। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কাগজের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। তিনি জানান, উন্নত মানের কাগজ আমদানি করা হয় রাশিয়া, কোরিয়ার মতো দেশ থেকে।এ কে আজাদ বলেন, বিজ্ঞাপন হলো সংবাদপত্রের মূল আয়। কিন্তু কোভিডের পর তা–ও কমে গেছে। বিজ্ঞাপনের আয়ের ওপরও কর দিতে হয়। আবার সরকারের কাছে ১০০ কোটি টাকার মতো বিজ্ঞাপন বিল বকেয়া আছে।
‘আসন্ন বাজেট এবং সংবাদপত্রশিল্পের সমস্যা ও সংকট’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সব অগ্রগতিতে এবং সব ক্ষেত্রে সাংবাদিক সমাজ বিশেষ ও বড় ভূমিকা পালন করেছেন। আর সব সময়ই এ দেশের মানুষ, সমাজ ও রাষ্ট্রের যা কিছু ভালো ও সাফল্য তার সবকিছুই দেশবাসীর সামনে তুলে ধরে গণমাধ্যম। একই সঙ্গে সমাজের, রাষ্ট্রের ও সরকারের কিছু কিছু ভুলত্রুটি সম্পর্কেও মতামত, বক্তব্য বা সংবাদ প্রকাশ করা হয়। কিন্তু বেশ কিছু দিন ধরেই দেশের সংবাদপত্রের সংকটটি অনেক কঠিন ও গভীর হয়েছে। এক দশক ধরেই পাঠক, প্রচারসংখ্যা ও বিজ্ঞাপন কমছে। করোনা এসে এটিকে আরও ত্বরান্বিত এবং গভীর করে তোলে। আয় ও ব্যয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য নেই। যে ব্যয় করে পত্রিকা বের করতে হয়, তার সামান্যই পত্রিকা বিক্রি করে ফেরত পাওয়া যায়।
সংবাদপত্রের ব্যয় বেড়ে যাওয়ার নানা তথ্য তুলে ধরার পাশাপাশি সমাধানেও কিছু দাবি তুলে ধরেন মতিউর রহমান। তিনি বলেন, দেড় বছর আগে প্রতি টন নিউজপ্রিন্টের দাম ছিল ৫৭০ ডলার, এখন তা হয়েছে ১ হাজার ৫০ ডলার। ছাপা পত্রিকার পাঠক কমলেও অনলাইনের পাঠক বাড়ছে। ফলে সেখানেও বিনিয়োগ করতে হচ্ছে।প্রথম আলো সম্পাদক বলেন, শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী, সংবাদপত্র একটি শিল্প। এ ছাড়া ২০১৪ সালে শিল্প মন্ত্রণালয় সংবাদপত্রকে সেবাশিল্প হিসেবে ঘোষণা করেছে। কিন্তু বাংলাদেশে এখন সংবাদপত্র একটি রুগ্ণ শিল্পে পরিণত হয়েছে। সেবা শিল্প ও রুগ্ণ শিল্প হিসেবে ধরলেও সরকারের কাছ থেকে কোনো রকমের সুবিধা-সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। এমনকি করোনাকাল এবং করোনা–পরবর্তী সময়ে যেখানে বিভিন্ন শিল্পকে নানা ধরনের প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে, সেখানে সংবাদপত্রকে সহায়তা করা হয়নি বা চেষ্টাও হয়নি।
সংবাদপত্রের বিদ্যমান সংকট মোকাবিলায় বিভিন্ন ধরনের আরোপিত কর প্রত্যাহার বা কমানোর দাবি জানান সম্পাদক মতিউর রহমান। তিনি বলেন, সংবাদপত্রের ওপর আরোপিত করপোরেট কর এখন ৩০ শতাংশ। সংবাদপত্রের মতো রুগ্ণ শিল্পের ওপর কর যদি আরোপ করতেই হয় তাহলে সেটি ১০ শতাংশ হতে পারে। সংবাদপত্রের প্রধান কাঁচামাল নিউজপ্রিন্ট। প্রধান ব্যয় এ নিউজপ্রিন্টের ওপর চলে যায়, যা মোট খরচের ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ। কিন্তু কাস্টমস প্রসিডিউর কোড তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকায় নিউজপ্রিন্টের আমদানির ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হচ্ছে। সরকার চাইলে এটি বাদ দিতে পারে। আর যদি প্রত্যাহার করা না হয় তাহলে এটি বড়জোর ৫ শতাংশ করা হতে পারে। অন্যদিকে নিউজপ্রিন্টের ওপর বর্তমানে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক দিতে হচ্ছে। এর সঙ্গে মূল্য সংযোজন কর (১৫ শতাংশ) এবং অগ্রিম আয়করসহ (৫ শতাংশ) সব মিলিয়ে কর দিতে হয় প্রায় ১২৭ শতাংশ। তাই আমদানি শুল্ককে শূন্য করা উচিত। আবার সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন আয়ের ওপর উৎসে কর (টিডিএস) ৪ শতাংশ।
উৎসস্থলে কাঁচামালের ওপরও ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর (এআইটি) দিতে হয়। অথচ অধিকাংশ সংবাদপত্রের মোট আয়ের ৯ শতাংশ লভ্যাংশই থাকে না। আসন্ন বাজেটে এসব সমস্যা সমাধানে সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ জানান মতিউর রহমান।আর্থিক সমস্যার পাশাপাশি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং প্রস্তাবিত উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ওটিটি প্রবিধানমালা এবং নীতিমালা ও গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলি) আইনসহ কিছু আইন গণমাধ্যমের জন্য প্রতিকূল বলেও উল্লেখ করেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। তিনি বলেন, বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে আর্থিক এবং আইনি এই বিষয়গুলোর আশু সুরাহা জরুরি।
বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বলেন, কোভিড-১৯–এর কারণে সংকটে থাকা সব শিল্পই সরকার থেকে সহযোগিতা পেয়েছে। সংবাদপত্রশিল্পেরও তা পাওয়া উচিত।বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রির (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী বলেন, মানুষের মূল্যবোধ সৃষ্টি, দেশের ভাবমূর্তি তৈরি ও মানুষের স্বপ্ন দেখানোর কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সংবাদপত্র। যেহেতু সংবাদপত্র একটা শিল্প, তাই এ শিল্পকে বাঁচাতে হবে এবং শিল্প খাতটিকে শক্তিশালী হতে হবে।
সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম বলেন, সংবাদপত্রের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল হচ্ছে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। নিউজপ্রিন্ট বলেন, কালি বলেন, প্রেস বলেন, সবই পাওয়া গেল। কিন্তু মতপ্রকাশের স্বাধীনতা না পেলে সেটি সংবাদপত্র হবে না, পিআর (জনসংযোগ) জার্নাল বের করা হবে।সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের জন্য অনেকগুলো আইন থাকার সমালোচনা করে মাহ্ফুজ আনাম বলেন, ‘আমার প্রশ্ন হলো সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের জন্য এত আইন কেন? যারা চোরাকারবার করে, যারা ভেজাল জিনিস বাজারে ছাড়ে, যারা ব্যবসার নামে অসামাজিক কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে কয়টা আইন আছে? আমি হিসাব করে দেখি, এত আইন আর কোনো পেশার জন্য নেই, যা গণমাধ্যমের জন্য আছে। আর প্রতিটি আইন সাংবাদিকদের ক্ষমতাকে সীমিত করে।’
মাহ্ফুজ আনামের মতে, দেশে একটি আইনও নেই যেখানে সাংবাদিকতাকে বিকশিত করে, সুরক্ষা দেয়। আবার আইনগুলো হচ্ছে আমলাতান্ত্রিক দৃষ্টিতে। বেশির ভাগ আইনে আমলাতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণের প্রসার হয়েছে, সাংবাদিকতা প্রসারের জন্য কোনো আইন হচ্ছে না। আমলারা কোনো দিন চাইবেন না, স্বাধীন গণমাধ্যমের বিকাশ।ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সমালোচনা করে সম্পাদক পর্ষদের সভাপতি বলেন, এই আইন যত দিন আছে, তত দিন সুষ্ঠু সাংবাদিকতা করা যাবে না।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সঙ্গে সম্পর্কিত ২৬টি আইন রয়েছে দেশে। কিছু আইন বাতিল করা দরকার।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর বলেন, সংবাদপত্র গণদ্রব্য। এ শিল্প জন–অর্থায়ন পেতে পারে কি না, দেখতে হবে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের জন্য যদি বরাদ্দ থাকতে পারে, সংবাদপত্রের জন্যও সহায়তা থাকতে পারে। উৎপাদন না উৎপাদিত পণ্য—কোন জায়গায় সুবিধা দেওয়া যেতে পারে, তা–ও বিবেচনায় আনা যায়। করের বিষয়টি যেহেতু এনবিআর দেখে, তাই যারা ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী কর্মীদের বেতন–মজুরি দেয় তাদের জন্য করকাঠামো ভিন্ন হতে পারে। যেমন যে পত্রিকা ওয়েজ বোর্ড পালন করে তাকে আমদানি পর্যায়ে শূন্য শুল্ক আরোপ করা যেতে পারে।
ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন বলেন, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে সংবাদপত্র বিরোধীদলের কাজটি করে যাচ্ছে। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যেসব মানবিক দায়িত্ব ও প্রয়োজনগুলোর বিষয়ে অবহেলা করা হচ্ছে, সেগুলোতে সংবাদপত্র যে যেমন করে পারে, তা করছে। সংবাদপত্রের দায়বদ্ধতাও অনেক বেশি বলে মনে করেন তিনি।ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘গণতান্ত্রিক স্পেস’ নিয়ন্ত্রণ করা যেন সরকারের জন্য অবধারিত হয়ে গেছে। এখন নজরদারিভিত্তিক সমাজব্যবস্থার দিকে চলে যাওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রচলিত ব্যবসায় মডেল থেকে সরে আসার সময় এসেছে সংবাদপত্রের। কারণ, সিংহভাগ বিজ্ঞাপন চলে যাচ্ছে ডিজিটাল মাধ্যমে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, বিজ্ঞাপন থেকে আয়ের ক্ষেত্রেও সরকারের নানা নিয়ন্ত্রণ দেখা যায়। যেমন কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানকে কোনো কোনো সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিতে নিরুৎসাহিত করা হয়। আর সরকারি বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে সার্কুলেশনের উদ্ভট তথ্য দেওয়া হয়। তারপর আবার বিল বাকি রাখা হয়। এসব দেখে মনে হয়, যারা অসৎ পথে, ভূমি দখল করে, প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করে বা ব্যাংক লোপাট করে হাজার হাজার কোটি টাকা আয় করেছে তারা ছাড়া সংবাদপত্রের মালিকানায় আর যেন কেউ না থাকে এটি হচ্ছে সরকারের অঘোষিত নীতি।
সংবাদপত্রের প্রচারসংখ্যা নিয়ে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের (ডিএফপি) কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি ওমর ফারুক। তিনি বলেন, ডিএফপি মিথ্যা তথ্য দিয়ে কাজ করে। যার ২০০ সার্কুলেশন নেই, তার ২ লাখ সার্কুলেশন করে দিয়েছে। এত মিথ্যা প্রতিষ্ঠান থাকতে পারে, এটি কল্পনার বাইরে।বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের আরেকাংশের সভাপতি এম আবদুল্লাহ বলেন, সংবাদপত্রশিল্পের বিষয়ে দাবি উত্থাপিত হলেও তা পূরণ হচ্ছে না। যেন অরণ্যে রোদনের মতো। সাংবাদিক, মালিক ও সম্পাদকেরা বললেও এটি যেন কারও কাছে গুরুত্ব বহন করে না। তিনি অভিযোগ করেন, সরকারের কাছে বিজ্ঞাপন বাবদ ১০০ কোটি টাকা বকেয়া বিল থাকলেও মনে হয় এটি ইচ্ছে করে দেওয়া হয় না, যাতে সংবাদপত্রগুলো চাপে থাকে।