লিড নিউজ

রিফাতকে জিতিয়েই ছাড়বেন-এমপি বাহার লড়ছেন ইসির বিরুদ্ধেও

 

 

 

 

 

স্টাফ রিপোর্টার : কুমিল্লায় সিটি মেয়র নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের পক্ষে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন এমপি বাহার। নির্বাচনের আচরণবিধি নিয়ে সংক্ষুদ্ধ হয়ে আদালতে গিয়ে লড়ছেন ইসির বিরুদ্ধেও। ইতিমধ্যে রুলও পেয়েছেন তিনি।
ওদিকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আচরণবিধি না মানায় স্থানীয় এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে এলাকা ছাড়তে বললেও তিনি তা না মানায় নির্বাচন কমিশনের এক্ষেত্রে আর কিছু করার নেই বলেও জানিয়েছেন।রবিবার নির্বাচন ভবনে সাবেক সিইসি, নির্বাচন কমিশনার ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকেরা কুমিল্লায় বাহারের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন করলে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল এ কথা জানান।

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সংসদ সদস্যের জন্য ইসির অনুরোধই যথেষ্ট। এরপরও না মানলে এবং মামলার ফলাফল না পেলে করার কিছু থাকে না সাংবিধানিক সংস্থাটির। আগামী ১৫ জুন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনসহ বেশ কিছু জায়গায় স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে। এটিই বর্তমান ইসির প্রথম নির্বাচন। এ নির্বাচনকে ঘিরে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে।

কুমিল্লা ৬ (আদর্শ সদর, সিটি করপোরেশন, সেনানিবাস এলাকা) আসনের সংসদ সদস্য বাহার আইন ভেঙে দলীয় প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠলে তাকে সতর্ক করে নির্বাচন কমিশন। তাতে কাজ না হওয়ায় গত বুধবার তাকে এলাকা ছাড়তে ‘অনুরোধ’ জানিয়ে চিঠি দেয় ইসি।

নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, কোনো সংসদ সদস্য স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে প্রচারে অংশ নিতে পারেন না। সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ভোটার হলে শুধু ভোট দিতেই নির্ধারিত কেন্দ্রে যেতে পারেন।কিন্তু প্রথম দফা সতর্কবার্তা পেয়ে হাইকোর্টে গিয়েছিলেন বাহার। তাকে নির্বাচনের প্রচারে সুযোগ না দেওয়া কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না, তা জানতে চেয়ে আদালত থেকে রুলও পান তিনি।

সিইসি আউয়াল বলেন, ইসির কিছু আইনগত ক্ষমতা আছে। কিছু ক্ষমতা আংশিক, কিছু ক্ষমতা পরিপূর্ণ। কোনো কোনো নির্বাচনে কারও কারও প্রার্থিতা বাতিল করতে পারে। কিন্তু কুমিল্লার বিষয়ে আচরণবিধিতে বলা রয়েছে-সরকারি সুবিধাভোগী ব্যক্তিরা কারও এলাকায় অবস্থান করে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না।

তিনি বলেন, কুমিল্লার মাননীয় সংসদ সদস্য অনেকটা তেমনটাই করেছেন বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। আমরা তাকে এখান থেকে চিঠি দিয়েছি। বলেছি- স্থান ত্যাগ করার জন্য। উনি ত্যাগ করেননি।সিইসি বলেন, আমরা শুনেছি- উনি আদালতে মামলা করেছেন। মামলার ফলাফলটা না পেলে আমরা যখন কাউকে রিকোয়েস্ট করি, আমাদের এমন কোনো ক্ষমতা নেই জোর করে একজন মাননীয় সংসদ সদস্যকে (বের করে দিতে)।

তিনি বলেন, উনাকে বলাটাই এনাফ। উনাকে আমরা যদি বলে থাকি-কাইন্ডলি আপনি যদি …. আচরণবিধিতে এটা আছে আপনি যদি সরে থাকেন, তাহলে নির্বাচনটা ভালো হয়। সেটা আমরা প্রকাশ্যে দিয়েছি। এটাই এনাফ একজন মাননীয় সংসদ সদস্যের জন্য সেটাকে অনার করা। যদি সেটি উনি অনার না করেন, সে ক্ষেত্রে আমাদের তেমন করার কিছু নেই।

সংশ্লিষ্ট খবর

Leave a Reply

Back to top button