ন্যাশনাল ব্যাংকের নয়া লুটপাটে অস্থির দুদক
তথ্য চেয়েছে ৩০ লাখ ডলার নয়ছয়সহ শীর্ষ ২০ ঋণগ্রহীতার
লাবণ্য চৌধুরী : ন্যাশনাল ব্যাংকের নয়া লুটপাটে অস্থির দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। শুধু লুটপাট নয় শীর্ষ ২০ ঋণগ্রহীতাকে বাড়তি সুবিধা দেয়া হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক বলেছে, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের (এনবিএল) পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে ৩০ লাখ ডলার অবৈধভাবে খরচ করা ও নামে-বেনামে অর্থ লুটপাটের অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে । এর পরিপ্রেক্ষিতে এবার ব্যাংকটির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। এর অংশ হিসেবে প্রয়োজনীয় নথি চেয়ে রোববার ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) চিঠি পাঠিয়েছেন দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।
চিঠিতে আগের অভিযোগ বাদে নতুন উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে সাত ধরনের নথিপত্র তলব করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের নিমতলী শাখায় মেসার্স ইপস্ ট্রেডিংয়ের চলতি হিসাব খোলার আবেদন, ছবিসহ নমুনা স্বাক্ষর কার্ড, কেওয়াইসি ফরম, টিপি এবং শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত চলতি হিসাব বিবরণী। আরও রয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড ঢাকার কাওরানবাজারে এনবিএল টাওয়ারে বিনিয়োগ ও নির্মাণ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র। যেমন- প্রাক্কলন, টেন্ডার, ঠিকাদার নির্বাচন, কার্যাদেশ, কাজ সম্পাদন হওয়া সংক্রান্ত প্রত্যয়ন, বিল প্রদানসহ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র। এছাড়া যৌথ বিনিয়োগ হয়ে থাকলে চুক্তিপত্র ও ঋণ দেয়া সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে।
গুরুতর অনিয়মের অভিযোগের মুখে ২০২১ সালে ন্যাশনাল ব্যাংকের ঋণ দেয়ার ক্ষমতা কেড়ে নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। অ্যাডভান্স ডিপোজিট রেশিও (এডিআর) ৮৭ শতাংশে নামিয়ে আনার আগে ব্যাংকটি আর কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অবশ্য ওই বছরের ৩০ ডিসেম্বর ঋণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। এরপর চলতি বছরের মে মাসে ঋণ দেয়ার ক্ষমতা কেড়ে না নিয়ে কোন কোন খাতে ঋণ দিতে পারবে তা জানিয়ে দিয়ে ব্যাংকটির ক্ষমতা খর্ব করে বাংলাদেশ ব্যাংক। একইসঙ্গে শীর্ষ ২০ ঋণগ্রহীতার তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়। বড় ধরনের অনিয়মের সূত্র ধরে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।