৩৮ ভরি গোল্ড ছিনতাইকারী দারোগা জাহিদুল রিমান্ডে
রুপনগর প্রতিনিধি : ৩৮ ভরি স্বর্ণ ছিনতাই মামলায় এএসআই জাহিদুলকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। সে রাজধানীর রূপনগর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই)। পুরো নাম জাহিদুল ইসলাম। তাকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) তোফাজ্জল হোসেন। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) রিমান্ড মঞ্জুর করে এই আদেশ দেয়। রাজধানীর গাবতলী থেকে ৩৮ ভরি স্বর্ণালংকার ছিনতাইয়ে অভিযোগে তাকে রিমান্ডে পাঠায় আদালত।
জানা গেছে, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্য পরিচয়ে টিটু প্রধানীয় নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৩৮ ভরি ১৪ আনা স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গতকাল সোমবার রাজধানীর দারুস সালাম থানায় একটি মামলা হয়। থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বায়েজীদ মোল্লা জানিয়েছেন, স্বর্ণালংকার ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সোমবার রূপনগর থানা এলাকা থেকে এএসআই জাহিদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরের দিন মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) আদালতে হাজির করে তাকে রিমান্ডে চাওয়া হয়। সাত দিনের রিমান্ড চাইলে বিচারক চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
পুলিশ জানায়, রাজধানীর তাঁতীবাজার এলাকার ধানসিঁড়ি চেইন অ্যান্ড বল হাউস নামের একটি স্বর্ণালংকারের দোকানে টিটু প্রধানীয় চাকরি করেন। একটি স্কুলব্যাগে করে গত রবিবার স্বর্ণালংকার নিয়ে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর ও সখীপুরের বিভিন্ন সোনার দোকানে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন তিনি। গাবতলী এসে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তখন অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি ডিবি পরিচয় দিয়ে তার নাম, ঠিকানা ও পেশা জানতে চান। জবাবে নিজের পরিচয় দেন টিটু প্রধানীয়। তার কাছে ২৬ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার রয়েছে বলেও জানান। পরে ওই ব্যক্তি স্বর্ণালংকারের কাগজপত্র দেখতে চান। ওই ব্যক্তির সঙ্গে টিটু কথা বলার সময় আরও চার-পাঁচজন সেখানে আসেন। তারা জোর করে স্বর্ণালংকারের ব্যাগ ছিনিয়ে নেন।
পরে টিটুকে তেজগাঁও থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে একটি মোটরসাইকেলে উঠানো হয়। সেখান থেকে মিরপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তোলা হয়। পরে বিজয় সরণি এলাকায় এসে তারা নেমে যান।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বায়েজীদ মোল্লা জানান, ছিনতাই হওয়া স্বর্ণালংকার উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।কর্মকর্তা বলেন, টিটু প্রধানীয় মোটরসাইকেলের নম্বর টুকে রেখেছিলেন। মোটরসাইকেলটি ব্যবহার করেন এএসআই জাহিদুল ইসলাম। মোটরসাইকেলটি তার হেফাজত থেকে জব্দ করা হয়েছে। তিনি এটি তার ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল বলে দাবি করেছেন।বিআরটিএ থেকে মোটরসাইকেলের মালিকানার বিষয়টি এখনো যাচাই করা হয়নি বলেও জানান বায়োজীদ মোল্লা।