লিড নিউজ

মোমেন বলেই যাচ্ছেন কাদের সামাল দিচ্ছেন!

 

স্টাফ রিপোর্টার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী একের পর এক বলেই যাচ্ছেন, আর সামাল দিচ্ছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত অভিমত সরকারের বক্তব্য না, দলেরও বক্তব্য না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, আমি ভারত সরকারকে সেটা করার অনুরোধ করেছি। এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের ক্ষমতায় টিকতে ভারতকে কোনো অনুরোধ আওয়ামী লীগ করে না বলে মন্তব্য করেন।

জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব বলেন।গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু দেশ। ভারতের সঙ্গে আমরা বৈরীতা চাই না। ২১ বছর ধরে ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক করে পঁচাত্তরের পর আমাদের নিজেদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। যে সংশয়, অবিশ্বাসের সম্পর্ক, শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদি ভেঙে দিয়েছেন। সে সংশয় নেই কিন্তু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমি বলতে চাই, শেখ হাসিনা সরকারের একজন মন্ত্রী…ভারত আমাদের সঙ্গে বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ। ভারত আমাদের দুঃসময়ের বন্ধু। একাত্তরের রক্তের বন্ধনে আমরা আবদ্ধ। তাই বলে আমরা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতকে অনুরোধ করবো, এ ধরনের কোনো অনুরোধ আওয়ামী লীগ করে না। করেনি, শেখ হাসিনার সরকারের পক্ষ থেকেও কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, আমাদের সমর্থন, ক্ষমতার উৎস বাংলাদেশের জনগণ। বাইরের কেউ আমাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে পারবে না। আল্লাহর ইচ্ছায় জনগণের সমর্থনে আওয়ামী লীগ টিকে আছে, ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতেও টিকে থাকবে। যিনি এ কথা বলেছেন, তার ব্যক্তিগত অভিমত হতে পারে। এটা আমাদের সরকারের বক্তব্য না, দলেরও বক্তব্য না। এতে করে ভারতও লজ্জা পায়। কীভাবে আমরা এ কথা বলি! বন্ধু, বন্ধু আছি। সম্পর্কটা ভালো আছে। অহেতুক কথা বলে এটা নষ্ট করবেন না কেউ।হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশে কাদের বলেন, আমরা আপনাদের সঙ্গে ছিলাম, আছি এবং আমরা ভবিষ্যতেও আপনাদের সঙ্গে থাকব। এখানে কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্বের অবকাশ সেই।

তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে আমাদের চমৎকার সম্পর্ক বিরাজমান। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জননন্দিত প্রধানমন্ত্রী ভারতে জননন্দিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বসে এ দেশের বহু দিনের অমীমাংসিত সমস্যা ভারতীয় পার্লামেন্টে সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন নিয়ে সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন করেছেন। বাংলাদেশ ও ভারত; দুনিয়ার ইতিহাসে বিরল ঘটনা—শান্তিপূর্ণভাবে সিটমহল বিনিময় করেছে। আরও দুএকটি সমস্যা আছে, আলোচনা চলছে। অগ্রগতি আসছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যার সেপ্টেম্বরে ভারতে যাওয়ার কথা রয়েছে। তখন হয়তো আরও কিছু বিষয়ে মতৈক্য হবে। লেনদেন, আমাদের অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হবে।

সংশ্লিষ্ট খবর

Leave a Reply

Back to top button