যুক্তরাজ্য’র ‘দ্য গ্লোবাল ইকোনমিক্স’ এর উদঘাটনে বসুন্ধরা বেস্ট কনগ্লোমারেট গ্রুপ’ নির্বাচিত
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ফের কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতায় শ্রেষ্ঠতার স্বীকৃতি পেল বসুন্ধরা গ্রুপ। এবার যুক্তরাজ্য’র ‘দ্য গ্লোবাল ইকোনমিক্স’ এর বিবেচনায় বেস্ট কনগ্লোমারেট গ্রুপ’ নির্বাচিত হলো বসুন্ধরা গ্রুপ। সম্প্রতি দেশের বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ যুক্তরাজ্যভিত্তিক অর্থ ও ব্যবসা বিষয়ক সাময়িকী ‘দ্য গ্লোবাল ইকোনমিক্স’- বসুন্ধরা গ্রুপকে ‘বেস্ট সিএসআর (কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি) কনগ্লোমারেট গ্রুপ’ নির্বাচিত করে। অতি সম্প্রতি দ্য গ্লোবাল ইকোনমিক্স এই তালিকা প্রকাশ করেছে। সেখানেই সেরা সিএসআর কনগ্লোমারেট ক্যাটাগরিতে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ।
বসুন্ধরা গ্রুপ গ্রামীন বাংলার আর্থ সামাজিক উন্নয়নে কাজ করায় এবং কোভিড দুর্যোগের সময় দেশের মানুষের কল্যাণে অবদান রাখা, বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসাসহ নানাবিধ চিকিৎসা সেবা প্রদান ও দেশের সুবিধাবঞ্চিত, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশুদের পড়াশোনার সুযোগ করে দেওয়াসহ বিভিন্ন অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশের সেরা সিএসআর কনগ্লোমারেট গ্রুপ হিসেবে এই পুরস্কার লাভ করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ।বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের দৃঢ় মনোবল, মেধা ও মননের সমন্বয়ে বসুন্ধরা গ্রুপ এগিয়ে চলেছে দুর্বার গতিতে। তাঁর একনিষ্ঠ পরিশ্রম ও নির্দেশনায় দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে বিস্তৃত হয়েছে এ শিল্পগোষ্ঠী। ব্যাপকতা ছড়িয়ে নানা খাতে সাফল্যের জোয়ার তুলেছে। এর ফলে মিলছে একের পর এক আন্তর্জাতিক পুরস্কার।
বসুন্ধরা গ্রুপের স্লোগানই হলো ‘দেশ ও মানুষের কল্যাণে’ কাজ করা। এই অন্তর্নিহিত শক্তিতে বসুন্ধরা গ্রুপ সবসময় সর্বাঙ্গিকভাবে দেশ মাতৃকার যেকোন প্রয়োজনে অগ্রগামী থাকে। নানাবিধ ব্যবসা সফল উদ্যোগের দ্বারা দেশের জিডিপিতে প্রত্যক্ষভাবে অবদান রাখার পাশাপাশি বসুন্ধরা গ্রুপ গ্রামীণ বাংলার আর্থ সামাজিক উন্নয়নেও প্রত্যক্ষভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বিনা সুদে ঋণ দিয়ে সাবলম্বী করে তুলছে। ফ্রি-ফ্রাইডে ক্লিনিক বা ফ্রি-আই ক্যাম্প ও বসুন্ধরা আই হাসপাতালের মাধ্যমে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসাসহ দিয়ে যাচ্ছে নিরন্তর স্বাস্থ্যসেবা। আদ্ব-দ্বীন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মাধ্যমে নিরন্তর নামমাত্র খরচে মহিলা ও শিশুসহ অসহায়দের বড় ও জটিল চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশনে সুবিধাবঞ্চিত শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধীদের যোগ্যতম মানুষ গড়ায় উপযুক্ত পড়াশোনার সুযোগ করে দিয়েছে।
এছাড়াও নিয়মিতভাবে নানাবিধ জনহিতকর উদ্যোগ যেমন – দেশের দরিদ্র ও অস্বচ্ছল পরিবারের শিশুদের হৃদরোগ, ব্যয়বহুল ক্যান্সারের চিকিৎসা সহায়তা কিংবা সিআরপি-তে সরাসরি অর্থ সাহায্যে বসুন্ধরা গ্রুপের নাম আসে সবার আগে। মানিকগঞ্জে অলাভজনক হাসপাতাল নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন আছে। মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া অদম্য মেধাবীদের বৃত্তির ব্যবস্থা করে দেওয়া-সহ বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অর্থ বৃত্তির ব্যবস্থা, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্কুলে অবকাঠামো তথা কম্পিউটার প্রদান, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি-এর অফিস নির্মাণের জন্য জমি প্রদান ইত্যাদি বসুন্ধরা গ্রুপের একটি ধারাবাহিক প্রচেষ্টা। বহুল আলোচিত নিউ মার্কেট সংঘর্ষে নিহত নাহিদ ও মুরসালিন এর পরিবারকে নগদ অর্থ সাহায্য প্রদান করে , এছাড়াও দেশে অনাকাঙ্ঘিত বা দুর্ঘটনাকবলিত অসহায় পরিবারকে সার্বিক সহায়তা দিয়ে পাশে থাকে বসুন্ধরা গ্রুপ।
কোভিড দুর্যোগের সময় বসুন্ধরা গ্রুপ একক তত্ত্বাবধানে সারাদেশব্যাপী মানুষের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি বসুন্ধরা গ্রুপ কোভিডে সম্মুখ যোদ্ধাদের বিশেষ করে, বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা যেমন পুলিশ, র্যাব, আর্মি, ডাক্তারদের বিনামূল্যে নিরলসভাবে ঔষধ ও মাস্ক বিতরন করেছিল করোনা মোকাবেলায় আইসিসিবি-তে অস্থায়ীভাবে বিশাল হাসপাতালের জন্য সরকারকে বিনামূল্যে জায়গা প্রদান করেছিল।
বন্যাদুর্গত এলাকায় মানুষের মাঝে ব্যাপক আকারে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছিল। এছাড়াও খেলাধুলায় পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে যুব সমাজকে মাদক আসক্তি থেকে দূরে রাখতেও কাজ করে যাচ্ছে গ্রুপটি। বাংলাদেশে খেলাধুলার মান উন্নয়নে গ্রুপটির অবদান অনস্বীকার্য। বসুন্ধরা কিংস বাংলাদেশের একটি প্রথম সারির চ্যাম্পিয়ন ফুটবল টিম। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব এবং শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের প্রত্যক্ষ তত্ববধানে রয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ।
এর আগে দেশের বাণিজ্য ও ব্যবসার অগ্রগতিতে অসামান্য অবদানের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে ‘বেস্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২১’প্রদান করেছিল ‘দ্য গ্লোবাল ইকোনমিক্স’। এর আগেও বসুন্ধরা গ্রুপ এবং এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলো ও নানা ব্র্যান্ড তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বিভিন্ন আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছে।