গুরুত্বপূর্ণ জলবায়ু ইস্যুতে ধনী দেশগুলোর ব্যর্থতা ‘দুঃখজনক’: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
নিউইয়র্ক থেকে মনোয়ার ইসলাম :পৃথিবীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জলবায়ু ইস্যুতে ধনী দেশগুলোর অর্থবহ পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থতাকে ‘দুঃখজনক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন,কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী দেশগুলো জোরালো বক্তব্য রাখলেও পরিস্থিতির সঙ্গে তাদের কার্যক্রম সঙ্গতিপূর্ণ নয়।নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের (ইউএনজিএ) ফাঁকে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, ধনী দেশগুলো শুধু কথা বলে, কিন্তু কাজ করে না। অথচ তারাই এ বিপর্যয়ের জন্য দায়ী।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘এটা ধনী ও উন্নত দেশগুলোর দায়িত্ব। তাদেরই এই ইস্যুতে এগিয়ে আসা উচিৎ। কিন্তু, আমরা তাদের দিক থেকে সেই ধরনের কোন সাড়া পাচ্ছি না। এটাই দুঃখজনক। আমি জানি- ধনী দেশগুলো আরো ধনী হতে চায়। তারা অন্যদের নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়।’
এএফপির প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে ঘন জনবসতিপূর্ণ ডেল্টা ও নিম্নাঞ্চলীয় বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। বাংলাদেশ পৃথিবীকে উষ্ণায়নের জন্য দায়ী খুবই সামান্য পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ করে।প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা করে টিকে থাকার জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তা করতে ২০২০ সাল নাগাদ বছরে ১শ বিলিয়ন মার্কিন ডলার চাওয়া হয়েছে।
এসময় রোহিঙ্গা ইস্যুতে এএফপিকে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যতক্ষণ তারা আমাদের দেশে আছে, আমরা মনে করি, এটি আমাদের দায়িত্ব। কিন্তু বাংলাদেশী আশ্রয়দাতাদের ধৈর্য কমে আসছে। স্থানীয় জনগণকে যথেষ্ট ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। আমি বলব না যে তারা ক্ষুব্ধ, তবে তারা অস্বস্তি বোধ করছে।
সাক্ষাতকারে শেখ হাসিনা আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের খোলা জায়গা দেয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়, কারণ তা তাদের নিজের দেশেই রয়েছে। তারা সেখানে ফিরে যেতে চায়। আর এটাই সবার মূল অগ্রাধিকার। তবে কেউ যদি তাদের নিতে চায়, তারা নিতে পারে।