উত্তরা ফাইন্যান্সে এমডির লুটপাট ৯ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
বিশেষ প্রতিনিধি : হাজার কোটি লুটেরা পিকে হালদারের মতো উত্তরা ফাইন্যান্সের এমডি চেয়ারম্যানের লুটপাট এর ঘটনায় ৯ জনের থলের বেড়াল বেরিয়ে পড়েছে। খুব শিগগির এদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে দুদক। ঘটনার প্রেক্ষাপটে এরা যাতে বিদেশে পালাতে না পারে সেজন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে দুদক কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডের নয় কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। আজ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক ও তদন্ত টিমের প্রধান আহসানুল কবির পলাশ এ নয়জনের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। পরে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান এ আদেশ দেন।
যাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে তারা হলেন-উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম শামসুল আরেফিন, চেয়ারম্যান রশীদুল হাসান, ভাইস চেয়ারম্যান মতিউর রহমান, সহ-সভাপতি ও ট্রেজারি প্রধান মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন, উত্তরা অ্যাপারেলসের পরিচালক মুজিবুর রহমান এবং কর্মচারী অনিল চন্দ্র দাস।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, তাদের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত চলছে। তাই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার আগে তাদের দেশ ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। শুনানি শেষে দুদককে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে বিশেষ শাখা (ইমিগ্রেশন) প্রধানের কাছে আদেশপত্র পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
চলতি বছরের ২৩ জুন আর্থিক অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগে উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে এসএম শামসুল আরেফিনকে সরিয়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। অডিট ফার্মের তদন্তে উদ্ঘাটিত অনিয়মের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক এনবিএফআইকে আরেফিনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দেন।