স্পোর্টস রিপোর্টার : চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার দুই বড় তারকা লিওনেল মেসি আর নেইমার জুনিয়রের বন্ধুত্বের কথা কারো অজানা নয়। বার্সেলোনায় দীর্ঘদিন একসঙ্গে খেলেছেন। এখন পিএসজিতে ফের খেলছেন একসঙ্গে। কিন্তু কাতার বিশ্বকাপে তো একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী।পিএসজির হয়ে খেলার সময় জাতীয় দল নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামান না তারা। কিন্তু খুনসুটি লেগেই থাকে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেইমার বলেন, ‘আমরা বিশ্বকাপ নিয়ে খুব একটা আলোচনা করি না, তবে মাঝেমধ্যে মজা করি যে ফাইনালে একে অপরকে গুঁড়িয়ে দেব। আমি মেসিকে বলেছি, তোমাদের বিপক্ষে জিতেই আমি চ্যাম্পিয়ন হব এবং আমরা দুজনই সেটা নিয়ে হাসাহাসি করেছি। ’
ফুটবলে যেকোনো দলের জন্য ১০ নম্বর জার্সিটি তাদের সেরা খেলোয়াড়ের জন্যই তোলা থাকে। ব্রাজিলও এর ব্যতিক্রম নয়। অতীতের তারকাদের পথ অনুসরণ করেই ১০ নম্বর জার্সিধারী নেইমারও নিজের প্রতিভা দিয়ে দলকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে এমন প্রত্যাশা সব ব্রাজিল সমর্থকেরই থাকে।
এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ খেলছেন নেইমার। ফেব্রুয়ারিতে ৩১ বছরে পা রাখতে যাওয়া পিএসজরি এই সুপারস্টারের বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের এটাই হয়তো শেষ সুযোগ। ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে ও ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপেও প্রত্যাশা ছিল অনেক। কিন্তু কোনো আসরেই ব্রাজিল সফল হতে পারেনি। নেইমার জানেন, এবার না হলে আর কখনোই সম্ভব না।
জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ১২১ ম্যাচে ৭৫ গোল করা নেইমার ব্রাজিলের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা পেলেকে ছাড়িয়ে যেতে আর মাত্র দুই গোল দূরে রয়েছেন। এ ধরনের চাপকে নেইমার স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘বিশ্বকাপ আমার কাছে সবচেয়ে বড় স্বপ্ন। যখন থেকে ফুটবল সম্পর্কে ধারণা হয়েছে তখন থেকেই এই স্বপ্ন দেখে আসছি। এখন আমার সামনে আরো একটি সুযোগ এসেছে। আশা করছি তা পূরণ করতে পারব।