শিল্পপতি বিপ্লবের স্বনির্ভর স্টোরে ভিক্ষুক মিজান সওদাগর
স্টাফ রিপোর্টার : শিল্পপতি মেহেদী হাসান বিপ্লবের স্বনির্ভর স্টোরে ভিক্ষুক মিজান এখন সওদাগর। অবিশ্বাস্য হলেও ঘটনাটি সত্য। ভিক্ষা নয় কর্ম করেই ভিক্ষুক মিজান কে সওদাগর বানিয়েছেন শিল্পপতি বিপ্লব। সরেজমিনে জানা গেছে, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মিজানের নতুন পথচলা শুরু হয়েছে। সে অনেক দূর এগিয়ে যেতে চায়। মিজান তিন সন্তানের একজন অন্ধপিতা। ১০ বছরের মেয়েটিকে নিয়ে বাজারে ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করে সংসার চালাত।
কিন্তু মিজান চায় ভিক্ষাবৃত্তি পেশা ছেড়ে একটা সম্মানজনক পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করতে। ফটিকছড়ি উপজেলার বাগান বাজারে (নতুনবাজর) ভিটেমাটিহীন মিজান কিছুদিন আগে আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পেয়ে মাথাগোঁজার একটা ঠাঁই পেয়েছে।
এখন সে পরিবর্তন করতে চায় তাঁর পেশা। একদা অরণ্য সাইফুল’র ফেইসবুক বুক পেইজে এমন একটি পোস্ট দেখেন শিল্পপতি মেহেদী হাসান বিপ্লব। এতে কাফি! বিপ্লবের কষ্ট শুরু। বিশেষত ঐ মেয়েটির কথা ভেবে যে কিনা কিছুদিন পর ভিক্ষুকের মেয়ে পরিচয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের শিকার হবে।
বিপ্লব জানান, আমি জানি,আমাদের সমাজে এমন হাজারও মিজান এভাবেই ভিক্ষা করে সংসার চালায়। প্রতিবন্ধী হয়ে জন্মগ্রহণ করা ব্যক্তিরা নিয়তির সাথে যুদ্ধ করে এভাবেই টিকে থাকে। কিন্তু মিজান তার পেশা পরিবর্তন করতে চায়।এটা আমাকে চমৎকৃত করেছে।আমিও একটা কন্যা সন্তানের পিতা। আমি চাই মিজানের মেয়েটিও তারঁ বাবার একটা সম্মানজনক পরিচয়ে পরিচিত হোক। মিজানের ইচ্ছানুযায়ী আমার অর্থায়নে একটা গরুর বাছুর এবং কুলিং কর্ণার দোকান করে দেয়া হয়েছে।
মিজানের অসুস্থ পিতা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মিজান এই দোকানটি করে তাঁদের ভাগ্য পরিবর্তনে চেষ্টা করবে ‘স্বনির্ভর ষ্টোর’র মাধ্যমে মিজান এখন মিজান সওদাগর। আশাকরি এলাকাবাসীর সহযোগিতায় মিজানের এই শুভযাত্রায় তাঁকে একটা আত্মপরিচয়ের জায়গা করে দিবে। মিজান ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে নতুন জীবন পাবে এটাই আমার প্রত্যাশা আর এখানেই আমার প্রাপ্তি!!