‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যথেষ্ট প্রয়োজনীয়তা রয়েছে’
বিশেষ প্রতিনিধি : আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বর্তমান বাস্তবতায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যথেষ্ট প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যে কারণে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে তা কেউ বলে না। শুধু বলা হয়, বাক-স্বাধীনতা ও সংবাদ ক্ষেত্রের স্বাধীনতা হরণ করার জন্য এই আইন করা হয়েছে। এটা মোটেও সঠিক নয়।ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যথেষ্ট প্রয়োজনীয়তা রয়েছে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, প্রকৃত অপরাধী থেকে পুলিশ ও আইনপ্রণেতাদের দুই ধাপ এগিয়ে থাকতে হবে।
কারণ আইনকে পাশ কাটিয়ে কিভাবে অপরাধ করা যায় তারা সেই চেষ্টায় থাকে। শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত ‘নিরাপদ ডিজিটাল সমাজ: রাষ্ট্রের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।মন্ত্রী বলেন, আইন হলে তার কিছু অপব্যবহার হয়, এটা স্বাভাবিক। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে পাশ কাটিয়ে কিভাবে অপরাধ করা যায় সে ব্যাপারেও চেষ্টা হবে।
কারণ অপরাধীরা সব সময় একধাপ এগিয়ে থাকার চেষ্টা করে । পুলিশ ও আইন প্রণেতাদের এখন প্রকৃত অপরাধীদের থেকে দুই ধাপ এগিয়ে থাকার চেষ্টা করতে হবে।ডাটা সুরক্ষা আইন প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, আগে আইন প্রণয়ন করার আগে অংশীজনদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ করা হতো না। এখন অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে আইন তৈরি করা হয়। অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা ও পরামর্শ করেই ডাটা সুরক্ষা আইন করা হবে। এ নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই। আনিসুল হক বলেন, ‘এখন আমরা গ্লোবাল সিটিজেন হয়েছি।
আবার বর্তমানের অনেক অপরাধ ট্রান্স বর্ডার হয়েছে। এসব অপরাধকে মোকাবিলা করার জন্য মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসটেন্স অ্যাক্ট প্রণয়ন করা হয়েছে। পৃথিবীর প্রায় সব দেশ এই আইন প্রণয়ন করেছে।এপিনিকের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল মেম্বার সুমন আহমেদ সাব্বিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিজিডি ই-গভ সিআইআরটি’র প্রকল্প পরিচালক তারেক এম বরকত উল্লাহ।অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, বিটিআরসির কমিশনার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন, ডিএমপির এডিসি মো. নাজমুল ইসলাম, আইসিটি বিষয়ক সাংবাদিক রাশেদ মেহেদী প্রমুখ।