আন্তর্জাতিক

তুরস্ক-সিরিয়া ট্রাজেডি: মৃত্যু ১১ হাজার-১ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক বাংলাদেশে

 

আন্তজার্তিক ডেস্ক : তুরস্ক-সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। বুধবার সর্বশেষ খবরে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ১০৪ জনের মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে।এদিকে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১০ হাজার ভ্রাম্যমাণ ঘর দিবে কাতার। ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় পাশে দাঁড়াতে কাতার এ সহায়তার হাত বাড়িয়েছে।

বাংলাদেশে ১ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক

এদিকে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিপুলসংখ্যক মানুষের মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয়ভাবে এক দিনের শোক পালন করবে বাংলাদেশ। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানিয়েছে।এতে বলা হয়, সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ার নাগরিকদের মৃত্যুতে ৯ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে একদিনের শোক পালন করা হবে।এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সব সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।এ ছাড়া নিহতদের আত্মার শান্তির জন্য দেশের সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।

এর মধ্যে তুরস্কে আনুষ্ঠানিকভাবে আট হাজার ৫৭৪ জন মারা যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে সিরিয়ায় দুই হাজার ৫৩০ জন মারা গেছেন বলে জানানো হয়েছে। খবর সিএনএনের। তবে এ সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়ে আছেন হাজার হাজার মানুষ।

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ১০ হাজার ভ্রাম্যমাণ ঘর দিচ্ছে কাতার

এদিকে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১০ হাজার ভ্রাম্যমাণ ঘর দিবে কাতার। ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় পাশে দাঁড়াতে কাতার এ সহায়তার হাত বাড়িয়েছে।। ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় পাশে দাঁড়াতে কাতার এ সহায়তার হাত বাড়িয়েছে। মঙ্গলবার কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়। ভ্রাম্যমাণ ঘরগুলোর পাশাপাশি উদ্ধারকারীদের একটি টিম, ত্রাণসামগ্রী, পর্যাপ্ত পরিমাণ তাঁবু ও শীতবস্ত্রও পাঠাবে কাতার।

কাতারের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কিউএনএ’র বরাত দিয়ে ডেইলি সাবাহ জানায়, সোমবার ভূমিকম্পের ঘটনার পরপরেই উড়োজাহাজে করে দ্রুত প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পাঠাতে নির্দেশ দেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। তারই অংশ হিসেবে এ সাহায্য পাঠানো হচ্ছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডাব্লিউএইচও জানায়, তুরস্ক এবং সিরিয়ায় আড়াই কোটির বেশি মানুষ এই ভূমিকম্পের শিকার হয়েছেন। দুটি দেশের কয়েক হাজার ভবন ধসে পড়েছে এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকেপড়া মানুষদের বাঁচাতে উদ্ধারকর্মীরা প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।

সোমবার ভোরে মানুষ যখন ঘুমাচ্ছিল, তখন ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।সিরিয়ার ন্যাশনাল আর্থকোয়েক সেন্টারের প্রধান রায়েদ আহমেদ এটিকে ‘ইতিহাসে তাদের রেকর্ড করা সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প বলে অভিহিত করেছেন।এদিকে ভূমিকম্পের ঘটনায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সাত দিনব্যাপী রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন। এরদোয়ান টুইটারে বলেন, আমাদের সরকারি ও বিদেশি সব দপ্তরে ১২ ফেব্রুয়ারি সূর্যাস্ত পর্যন্ত পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button