আন্তর্জাতিক

‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ গুজরাটের সেই দাঙ্গায় জড়িত মোদির ঘুম হারাম

আন্তজার্তিক ডেস্ক : ভারতের দিল্লি ও মুম্বাইয়ে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের (বিবিসি) কার্যালয়ে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এসময় অফিসে উপস্থিত থাকা সংবাদকর্মীদের মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ জব্দ করেন ইডি কর্মকর্তারা এবং তার পরপরই শুরু হয় তল্লাশি। তবে কেন এ অভিযান তা এখনও স্পষ্ট নয়।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকালের দিকে এ তল্লাশি অভিযান চালানো হয়।বিবিসি বলেছে, তারা কর্তৃপক্ষের সাথে “পুরোপুরি সহযোগিতা” করছে।এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, আমরা আশা করি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই পরিস্থিতির সমাধান হবে।এর আগে দুই পর্বে প্রকাশিত হয়েছিল বিবিসির তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’। কয়েক সপ্তাহ আগে প্রচারিত ওই তথ্যচিত্রকে ঘিরেই এ অভিযান, এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, সেই সময় ২০০২ সালে রাজ্যে ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নিয়ে গবেষণাধর্মী তথ্যচিত্রটি তৈরি করে বিবিসি। যেখানে মোদিকে দাঙ্গার জন্য দায়ি করা হয়।
প্রচারে যাওয়ার পরপরই তথ্যচিত্রটি ভারতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকি সমস্ত সামাজিক মাধ্যম থেকেও তথ্যচিত্রটি তুলে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। টুইটার, ইউটিউবকেও ওই সংক্রান্ত সমস্ত টুইট এবং ভিডিও মুছে ফেলতে বলা হয়।

এ নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়ায় ক্ষমতাসীন দল বিজেপি ও প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। বিরোধীরা বিভিন্ন জায়গায় সরকারি ফরমান উপেক্ষা করে তথ্যচিত্রটির প্রদর্শনের ব্যবস্থা করে। এমনকি পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরেও তথ্যচিত্রটি দেখান। তা নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন পড়ুয়ারা। বিরোধীদের দীর্ঘ দিনের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে মোদি সরকার সামগ্রিক বিরোধিতাকে ধামাচাপা দিতে চাইছে।

তারা বলছেন, মোদিকে নিয়ে তথ্যচিত্র ঘিরে তোলপাড়ের মধ্যেই বিবিসির অফিসে আয়কর অভিযান অনেকগুলো প্রশ্ন স্পষ্ট করে দিল। কংগ্রেস সভাপতি কেসি ভেনুগোপাল বলেছেন, মঙ্গলবারের অনুসন্ধান “হতাশার উদ্রেক করে এবং এটা দেখায় যে, মোদি সরকার সমালোচনায় ভীত”।

তিনি টুইটে আরও বলেন, আমরা এই ভয় দেখানোর কৌশলের কঠোরতম ভাষায় নিন্দা জানাই। এই অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী মনোভাব আর চলতে পারে না।কিন্তু মোদির ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া বিবিসিকে “বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সংস্থা” হিসেবে বর্ণনা করেছেন।অন্যদিকে এডিটরস গিল্ড অফ ইন্ডিয়া বলেছে যে, তারা অনুসন্ধানের বিষয়ে “গভীরভাবে উদ্বিগ্ন”

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button