পাবনা ফরিদপুর প্রতিনিধি : একেই বলে চেয়ারম্যানের বখাটে ছেলে ; উচ্ছৃঙ্খলতার যেনো শিরোমণি।! তাই যা হবার তাই হলো! বাবার লাইসেন্স করা পিস্তল নিয়ে স্থানীয় এক ইউপি চেয়ারম্যানের দিকে তেড়ে যাওয়ার সময় জনতার হাতে আটক হয়েছেন পাবনার ফরিদপুর পৌরসভার মেয়রের ছেলে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুর পৌর মুক্তমঞ্চের সামনে থেকে তাঁকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ সময় পুলিশ তাঁর কাছ থেকে পিস্তলটি জব্দ করে। আটক যুবকের নাম কামরুল হাসান সজয় (২৭)। তিনি ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র কামরুজ্জামান মাজেদের ছেলে। মাজেদ উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি। সজয় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি।
সরেজমিনে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উপজেলার পুঙ্গলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাজেদুল ইসলাম সুমনের সঙ্গে মেয়রের বিরোধ ছিল পুরনো। সেই ঘটনায় মেয়রের ছেলে কামরুল হাসান সজয় আজ পৌর মুক্তমঞ্চের সামনে পিস্তল হাতে ইউপি চেয়ারম্যানের দিকে তেড়ে গেলে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান। এ সময় সেখানে উপস্থিত লোকজন ধাওয়া করে কামরুল হাসান সজয়কে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সাজেদুল ইসলাম সুমন বলেন, আজ দুপুরে তিনি পৌর মুক্তমঞ্চের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় মেয়রের ছেলে পিস্তল নিয়ে তাঁর দিকে তেড়ে গেলে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান। আগেও সজয় তাঁকে নানাভাবে হুমকি দিয়েছে। তিনি সজয়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র কামরুজ্জামান মাজেদ বলেন, ‘বিষয়টি শোনার পর থানায় এসেছি। ঘটনা জানার চেষ্টা করছি। এখন ব্যস্ত আছি। পরে কথা বলব।
ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, পূর্ববিরোধের জেরে পৌর মুক্তমঞ্চের সামনে প্রতিপক্ষকে বাবার লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে ভয়ভীতি দেখান মেয়রের ছেলে কামরুল হাসান সজয়। এ সময় সেখানে দায়িত্বরত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ওয়াজেদ তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় কামরুল হাসান সজয়ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, মেয়রের ছেলে কামরুল হাসান সজয় এলাকায় বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত। তাঁর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার।