হাসান তোপে ১০ উইকেটে ইতিহাস গড়ল টাইগাররা
স্পোর্টস রিপোর্টার : একেই বলে টাইগার! বাঘের মতো হাসান মাহমুদ গর্জে উঠেছিলেন। এরপর ইতিহাস গড়ে জিতল বাংলাদেশ। ওয়ানডে ইতিহাসে প্রমথমবারের মতো ১০ উইকেটের জয় পেল টাইগাররা। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ১০১ রানে অলআউট করে ১৩.১ ওভারে জয়ের বন্দরে নোঙর করেছে তামিম ইকবাল বাহিনী। এর মাধ্যমে ২-০ ব্যবধানে সিরিজও নিশ্চিত হয়েছে টাইগারদের।
রঙিন পোশাকে এর আগে ৭ ম্যাচে ৯ উইকেটে জেতার রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। কিন্তু কোনো ম্যাচেই ১০ উইকেটে জেতেনি টাইগাররা, এ তথ্য বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) থেকে খারিজ করে দিল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রান তাড়া করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়েই জয়ের দেখা পায় টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত তামিম ৪১ রানে ও লিটন ৫০ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে হাসান মাহমুদের ৫ উইকেটে ১০১ রানে অলআউট হয় আয়ারল্যান্ড। টাইগার পেসারদের তোপে শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি অ্যান্ড্র বালবার্নিদের। সফরকারী শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন হাসান মাহমুদ। তার তৃতীয় ওভারে প্যাভিলিয়নে ফেরেন স্টেফেন দোহেনি। হাসানের ব্যক্তিগত তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে ৮ রানে আউট হন স্টেফেন। দোহেনি ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের হাতে। পরের উইকেট শিকারিও হাসান। দলীয় অষ্টম ওভারের শুরুতেই তিনি নেন পল স্টার্লিংয়ের উইকেট। ফুল লেংথের এক ডেলিভারিতে বল পায়ে লাগার পর স্টার্লিং রিভিউয়ের আবেদনই করেননি, ফিরে যান প্যাভিলিয়নের পথে। আইরিশ ওপেনার ১২ বলে করেন ৭ রান।
একই ওভারে হাসান শূন্য রানে হ্যারি টেক্টরকেও তুলে নেন। পেসারদের সেই দাপট অব্যাহত থাকে তাসকিন বল হাতে নিলে। টেক্টর ফিরে যাওয়ার পরের ওভারে তাসকিন আহমেদ শিকার করেন অ্যান্ড্রু বালবার্নির উইকেট। ১৮ বলে বালবার্নি করেন ৬ রান। ২৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর আয়ারল্যান্ড চাপ সামাল দিচ্ছিল কার্টিস ক্যাম্ফার ও লর্কান টাকারের ব্যাটে। তারা প্রায় অর্ধশত রানের জুটি গড়তে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তার আগেই টাকারকে শিকারে পরিণত করেন এবাদত হোসেন।
পরপর দুই বলে দুই উইকেট নেন এবাদত, তাতে আয়ারল্যান্ডের ৪২ রানের জুটি ভাঙে। প্রথমে টাকারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে পরের বলে জর্জ ডকরেলকে সরাসরি বোল্ড করেন বাংলাদেশি পেসার। টাকার ৩১ বলে করেন ২৮ রান। ডকরেল নামের পাশে কোনো রানই যোগ করতে পারেননি। পরের ওভারে তাসকিন বল করতে এসে তুলে নেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনকে। একই ওভারে তিনি মার্ক অ্যাডারের উইকেটও পান।
বিধ্বস্ত আয়ারল্যান্ডের হাল ধরে খেলছিলেন ক্যাম্ফার। সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলা এই ব্যাটার পরাস্ত হন হাসান মাহমুদে। ৩৬ রানে তাকে তাসকিনের ক্যাচ বানান মাহমুদ। আইরিশদের সবশেষ উইকেটটিও যায় হাসানের ঝুলিতে। তাতে ওয়ানডে তো বটেই, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেই প্রথমবারের মতো ৫ উইকেটের স্বাদ পেলেন ডানহাতি পেসার, বিনিময়ে রান দিলেন ৩২। এ নিয়ে ৮ ম্যাচে তার ওয়ানডে উইকেট হলো ১৩টি।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দুই ম্যাচে খেললেও এক ম্যাচে বল করার সুযোগ পেয়েছেন হাসান মাহমুদ। তৃতীয় ওয়ানডেতে বল করার সুযোগ পেয়েই ৫ উইকেট নেন তিনি। তাতে তার ঝুলিতে যায় ম্যাচসেরার পুরস্কার। মুশফিকুর রহিম ব্যাট করেছিলেন সিরিজের দুই ম্যাচে। তিনি হলেন সিরিজ সেরা।তিন ম্যাচের সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডকে ১০১ রানে অলআউট করেছে বাংলাদেশ। রান তাড়া করতে নেমে জয়ের দ্বারপ্রান্তে টাইগাররা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিনা উইকেটে তামিম ইকবাল বাহিনী করেছে ৭১ রান।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৫ উইকেটের দেখা পেলেন হাসান মাহমুদ। তার তোপে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে মাত্র ১০১ রানে অলআউট হয়েছে আয়ারল্যান্ড। জয়ের জন্য ১০২ রান করতে হবে বাংলাদেশকে।বাংলাদেশের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে ২৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর আয়ারল্যান্ড চাপ সামাল দিচ্ছিল কার্টিস ক্যাম্ফার ও লর্কান টাকারের ব্যাটে। তারা প্রায় অর্ধশত রানের জুটি গড়তে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তার আগেই টাকারকে শিকারে পরিণত করেন এবাদত হোসেন।
ম্যাচসেরা হাসান, সিরিজসেরা মুশফিক
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দুই ম্যাচে খেললেও এক ম্যাচে বল করার সুযোগ পেয়েছেন হাসান মাহমুদ। তৃতীয় ওয়ানডেতে বল করার সুযোগ পেয়েই ৫ উইকেট নেন তিনি। তাতে তার ঝুলিতে যায় ম্যাচসেরার পুরস্কার। মুশফিকুর রহিম ব্যাট করেছিলেন সিরিজের দুই ম্যাচে। তিনি হলেন সিরিজ সেরা।বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে তৃতীয় ওয়ানডেতে সফরকারী দলের প্রথম তিন উইকেটই নেন হাসান।
তার তৃতীয় ওভারে প্যাভিলিয়নে ফেরেন স্টেফেন দোহেনি। ব্যক্তিগত ৮ রানে আউট হন তিনি। দোহেনি ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের হাতে। দলীয় অষ্টম ওভারের শুরুতে হাসান নেন পল স্টার্লিংয়ের উইকেট। ফুল লেংথের এক ডেলিভারিতে বল পায়ে লাগার পর স্টার্লিং রিভিউয়ের আবেদনই করেননি, ফিরে যান প্যাভিলিয়নের পথে। আইরিশ ওপেনার ১২ বলে করেন ৭ রান।
একই ওভারে হাসান শূন্য রানে হ্যারি টেক্টরকেও তুলে নেন। শেষ দিকে বিধ্বস্ত আয়ারল্যান্ডের হাল ধরে খেলছিলেন ক্যাম্ফার। সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলা এই ব্যাটার পরাস্ত হন হাসান মাহমুদের বলে। ৩৬ রানে তাকে তাসকিনের ক্যাচ বানান মাহমুদ। আইরিশদের সবশেষ উইকেটটিও যায় তার ঝুলিতে। তাতে ওয়ানডে তো বটেই, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেই প্রথমবারের মতো ৫ উইকেটের স্বাদ পেলেন ডানহাতি পেসার, বিনিময়ে রান দিলেন ৩২। এ নিয়ে ৮ ম্যাচে তার ওয়ানডে উইকেট হলো ১৩টি।
হাসানের ৫ উইকেট শিকারের ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগই পাননি মুশি। আগের দুই ওয়ানডেতে অবশ্য সুযোগ পেয়ে কাজে লাগান তিনি। প্রথম ম্যাচে ২৬ বলে ঝোড়ো ৪৪ ও দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি করেন টাইগার উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ৬০ বলে ঠিক ১০০ রান করে তিনি হন বাংলাদেশের সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক। মুশফিকের আগে ৬৩ বলে সেঞ্চুরি করে এই রেকর্ড সাকিব আল হাসান নিজের দখলে রেখেছিলেন।