ওমানে নিহতদের লাশ বদলে তুলকালাম -রাকিবুলের কফিনে মিলল আরেকজনের লাশ
পিরোজপুর প্রতিনিধি : এবার লাশবদল নিয়ে তুলকালাম কান্ড ঘটেছে। ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত রাকিবুল হাসানের (৩০) নাম ও পাসপোর্ট নম্বর লেখা কফিন বিমানবন্দর থেকে পরিবারের সদস্যরা গ্রহণ করেন। লাশ বাড়িতে নেওয়ার পর জানাজার আগে কফিন খুলে দেখতে পেলেন, মৃত রাকিবুল হাসানের বদলে অন্য এক ব্যক্তির লাশ। আজ বুধবার সকাল নয়টার দিকে পিরোজপুর সদর উপজেলার চালনা নামাজপুর গ্রামের শেখ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। রাকিবুল হাসান চালনা নামাজপুর গ্রামের আবদুল মালেক শেখের ছেলে।
রাকিবুলের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রাকিবুল এক বছর আগে চাকরি নিয়ে ওমান যান। ৬ এপ্রিল তিনি সেখানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। একই সড়ক দুর্ঘটনায় রাকিবুলের সঙ্গে মারা যান কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার মো. জুয়েল। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টা ৫০ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি ফ্লাইটে রাকিবুল ও জুয়েলের লাশ দুটি কফিনে একসঙ্গে বাংলাদেশে পৌঁছে। এ সময় রাকিবুলের লাশ গ্রহণ করতে তাঁর ভাই ইমরুল ইসলাম বিমানবন্দরে যান। তখন জুয়েলের লাশ গ্রহণ করতে আসা এক স্বজনের সঙ্গে ইমরুলের পরিচয় হয়। এ সময় জুয়েলের ওই স্বজনের মুঠোফোন নম্বর রেখে দেন ইমরুল। আজ সকালে রাকিবুলের লাশ নিয়ে ইমরুল বাড়িতে পৌঁছান। সকাল নয়টায় জানাজার আগে কফিন খোলা হয়।
কফিন খুলে দেখেন অন্য ব্যক্তির লাশ। তখন জুয়েলের স্বজনদের সঙ্গে ইমরুল যোগাযোগ করে জানতে পারেন, কফিনে তাঁরাও জুয়েলের লাশের বদলে অন্য লাশ পেয়েছেন। এরপর দুই পরিবারের সদস্যরা লাশ নিয়ে রওনা দেন। আজ বেলা দুইটার দিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকায় লাশ দুটি বদল করে আবার গন্তব্যে রওনা দিয়েছেন দুই পরিবারের সদস্যরা।
নিহত রাকিবুলের বড় ভাই আসলাম শেখ জানান, মৃত রাকিবুলের চার বছরের একটি মেয়ে ও ছয় মাসের যমজ দুটি কন্যাশিশু রয়েছে। রাকিবুল ওমান যাওয়ার ছয় মাস পর তাঁর স্ত্রী যমজ সন্তান জন্ম দেন। আসলাম শেখ আরও বলেন, আজ সকাল নয়টায় জানাজার আগে কফিন খুলে দেখি অন্যজনের লাশ। রাকিবুলের লাশের সঙ্গে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার জুয়েলের লাশ দেশে এসেছিল। আমরা বুঝেছি, লাশের কফিনের ওপরের লেখা নাম ও পাসপোর্ট নম্বর বদল হয়ে গেছে। আমার ছোট ভাই ইমরুলের কাছে জুয়েলের এক আত্মীয়ের ফোন নম্বর থাকায় তাঁদের ফোন করার পর নিশ্চিত হই, রাকিবুলের লাশ মেঘনা চলে গেছে।