বিশ্বে বাংলাদেশ একটি রোল মডেল-
প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে বললেন আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা
বিশেষ প্রতিনিধি : বাংলাদেশ কিছুটা স্বস্তির জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঋণদাতা সংস্থাটি ভবিষ্যতেও এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছে। সেই সঙ্গে করোনা মহামারী ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ধাক্কার মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখার প্রশংসা করেছেন আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা।
শনিবার বিকালে ওয়াশিংটনে দ্য রিজ-কার্লটন হোটেলের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য দেখা করেন আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। পরে এই বৈঠক সম্পর্কে এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। এ সময় অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা কিছুটা স্বস্তির জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছি। শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতির ব্যাপক প্রশংসা করেছেন আইএমএফের এমডি।
তিনি আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে উদ্ধৃত করে বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশ একটি রোল মডেল (সামগ্রিক উন্নয়নের পরিপ্রেক্ষিতে) কারণ, দেশটি এমনকি করোনা মহামারির পরও অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে পেরেছে। আইএমএফ ভবিষ্যতেও বাংলাদেশে সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছে। একই সাথে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেছেন ক্রিস্টালিনা।
আইএমএফ প্রধান বলেন, সব প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মতো নেতৃত্ব প্রয়োজন। অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন ও দক্ষ যোগাযোগ এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার মাধ্যমে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। এছাড়া কোভিড-১৯ মহামারিকালে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখারও প্রশংসা করেছেন ক্রিস্টালিনা।
প্রধানমন্ত্রী দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সরকারের নানা উদ্যোগ সম্পর্কে আইএমএফ প্রধানকে অবহিত করে বলেন, দেশের উন্নয়ন একদিনে হয়নি বরং এটি দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার ফল। পট পরিবর্তনের পর কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি যেভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন চেয়েছেন সেভাবে তার পরিকল্পনা করেন এবং ২০০৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করেন।
সরকার প্রধান জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা এবং নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের পদক্ষেপ সম্পর্কে আইএমএফ প্রধানকে অবহিত করেন। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় আইএমএফের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতেও সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা দেন।