অপরাধ

কনস্টেবল নিয়োগে ঘুষ খেয়ে ধরা এসপি

তদন্তে ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা জব্দ

বিশেষ প্রতিনিধি : কনস্টেবল পদে নিয়োগে ঘুষ লেনদেনসহ দুর্নীতির অভিযোগে পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদারসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার মাদারীপুর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। প্রধান আসামি সুব্রত কুমার বর্তমানে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত রয়েছেন। এর আগে তিনি মাদারীপুরের এসপি ছিলেন। অন্য আসামিরা হলেন- কনস্টেবল (সাময়িক বরখাস্ত) মো. নুরুজ্জামান সুমন, কনস্টেবল (সাময়িক বরখাস্ত) জাহিদুল ইসলাম, মাদারীপুর জেলা পুলিশ হাসপাতালের সাবেক মেডিক্যাল অ্যাসিসটেন্ট পিয়াস বালা, মাদারীপুরের সাবেক টিএসআই (টাউন সাব-ইন্সপেক্টর) গোলাম রহমান ও মো. হায়দার ফরাজী।

মামলায় সুব্রত কুমারসহ আসামিদের বিরুদ্ধে মাদারিপুরে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ২৮ মে মাদারীপুর জেলায় পুরুষ ও নারীসহ মোট ৫৪ জন পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি করা হয়। ওই নিয়োগ কমিটির সভাপতি ছিলেন মাদারীপুর জেলার তৎকালীন পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার।

মাদারীপুর জেলায় পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষায় মোট অংশগ্রহণকারী প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৯৯৩ জন। যাদের মধ্যে ৩৬৪ জন শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। এরপর দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষায় ইংরেজি অংশের প্রশ্ন প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়ন করেন মাদারীপুর জেলার তৎকালীন পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার।
এরপর চূড়ান্ত ফলাফলের ভিত্তিতে ৫৪ জন পুলিশ কনস্টেবলের নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। এই নিয়োগ চলাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অবৈধ ঘুষ লেনদেনের ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা পুলিশ বিভাগ ছয়টি ধাপে জব্দ করে। বিষয়টি পুলিশ সদর দফতর প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে এবং আদালতের মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানো হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, দুদকের অনুসন্ধানে এ নিয়োগের ক্ষেত্রে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়।

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button