ধার নেই হাত পাতি না-
বিশেষ প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ কারও কাছে হাত পাতে না। আগে যারা মনে করতো আমরা শুধু হাত পেতে চলব, এখন আর সেটা মনে করে না। আমাদের উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে অর্থ ধার নিই, হাত পাতি না। তার সুদসহ ফেরত দিই।
তিনি বলেন, আগে কিন্তু ভাবখানা এমন ছিল যে আমরা ভিক্ষা নিচ্ছি। এই যে শর্ত দেওয়া, তবে পদ্মা সেতুর ওই সিদ্ধান্তের পর অতটা কেউ শর্ত টর্ত কেউ দিতে সাহস পায় না। বহির্বিশ্বে যারা বাংলাদেশকে নিয়ে হেয় করত, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের পর তাদের ধারণা বদলেছে বলে মনে করেন তিনি। বাংলাদেশ এখন আর উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলোর কাছে হাত পাতে না, বরং প্রয়োজনে ঋণ করে এবং সুদসহ তা ফেরত দেয় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার দুপুরে, ঢাকা সেনানিবাসে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য যে কয়টি সংস্থার সদস্যরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করেন তার একটি পিজিআর।
এই সেনা সদস্যরাই শান্তি মিশনে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিধ্বস্ত অসহায় মানুষের পাশে দায়িত্ব পালন করেন। তাদের সেই নিষ্ঠা দেশের জন্য গৌরবের বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী। সরকার প্রধান বলেন, আমি খুব গর্ববোধ করি, কারণ যে দেশে আমাদের শান্তিরক্ষী বাহিনী কাজ করে সে দেশের সরকার প্রধান, রাষ্ট্রপ্রধান যখন প্রশংসা করে তখন গর্ববোধ করি। আমরা সম্মান পাচ্ছি এটাকে ধারণ করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর তার সরকারের সময় নেওয়া বিভিন্ন কর্মসূচির উদাহরণ টানেন। বলেন, সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রতিটি বাহিনী সাধারণ মানুষের পাশে আছে। শুধু দেশে নয় শান্তিরক্ষা মিশনও যারা কাজ করে তাদের মাঝে সবচেয়ে মানবিক গুণ হলো, যে দেশে তারা যায় তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের সাথে সাথে স্থানীয় মানুষের সেবা দিয়ে থাকে। সেজন্য প্রত্যেকের কাছে একটা মর্যাদা পায়।
সরকার প্রধান জানান, পিজিআরের জন্য আগেই ১৪ তলা ভবন করা হয়েছে। স্মার্ট আর উন্নত বাংলাদেশের এই যাত্রায় শামিল রাখতে স্বতন্ত্র রেজিমেন্ট আছে এই সংস্থার। এবার গণভবনের পেছনে পাঁচ একর জায়গায়, পুরানো বাণিজ্য মেলার মাঠে একটি পার্ক ও পিজিআর সদস্যদের আবাসন নির্মাণের ঘোষণাও দেন প্রধানমন্ত্রী।