ডিমে তেলেসমাতি-১৮০/-
বিশেষ প্রতিনিধি : এ যেন তেলেসমাতি কারবার। রাজধানীতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা পর্যায়ে ডিমের দাম প্রতি ডজনে ২০ থেকে ৩৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।পাড়া মহল্লায় ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত। এ অবস্থায় গত কয়েকদিন ধরে ডিমের দাম শুনে অনেক কাস্টমার গালাগাল দিচ্ছে। অনেকে বুঝলেও কেউ কেউ মনে করে দোকানদাররা ইচ্ছা করে দাম বেশি চাইছে।
তাদেরকে কীভাবে বোঝাবো যে এখানে আমাদের কিছু করার নেই, আক্ষেপ করছিলেন ঢাকার মধুবাগের মুদি দোকানদার সায়েম উদ্দিন । ডিমের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে হঠাৎই অনেকটা বেড়ে যাওয়ার ফলে কী ধরণের পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে, তারই বর্ণনা দিচ্ছিলেন তিনি।
বাংলাদেশে এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা পর্যায়ে ডিমের দাম প্রতি ডজনে ২০ থেকে ৩৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সাত থেকে ১০দিন আগেও খুচরা বাজারগুলোতে যেখানে এক ডজন ডিমের দাম ছিল ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা, শুক্রবার সেসব বাজারে এক ডজন ডিমের সর্বনিম্ন মূল্য ছিল ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা। পাড়া বা মহল্লার ভেতরের দোকানগুলোতে কোথাও কোথাও ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা ডজন পর্যন্ত ডিম বিক্রি হচ্ছে।
অল্প কয়েকদিনের ব্যবধানে ডিমের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার ঘটনা বাংলাদেশে নতুন নয়। এ বছরের শুরুতে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজন প্রতি প্রায় ৩০ টাকা বেড়েছিল। এর আগে গত অগাস্টেও ডিমের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়ে গিয়েছিল। পরে বর্ষা শেষে দাম কমে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা হয়।
তবে এবারে এক ডজন ডিমের দাম ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা হওয়ার ঘটনাকে বলা হচ্ছে বাংলাদেশের ইতিহাসে ডিমের সর্বোচ্চ দাম। আর এই দাম বৃদ্ধির পেছনে একাধিক বিষয় কাজ করছে বলে দাবি করছেন ডিম ব্যবসার সাথে জড়িতরা।
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ বা টিসিবি’র হিসেব অনুযায়ী দুই দিনের ব্যবধানে প্রতি হালি ডিমের দাম ৭ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে।সংস্থাটির হিসেব অনুযায়ী, গত বছর এই সময় ডিমের দাম ছিল ডজন প্রতি ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ডিমের দাম প্রতি ডজনে বেড়েছে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, বা প্রায় ২৫ শতাংশ।