স্বাস্থ্য

ডেঙ্গুর ভেজাল ওষুধ মার্শাল এগ্রোভেটে-তথ্য চেয়েছে ডিএনসিসি মেয়র

বিশেষ প্রতিনিধি :  ডেঙ্গুর ভেজাল ওষুধ দিয়েছে মার্শাল এগ্রোভেট। এতথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ায় সব তথ্য উপাত্ত চেয়েছে ডিএনসিসি মেয়র।রাজধানীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সিঙ্গাপুর থেকে লার্ভা ধ্বংসে কার্যকরী বাসিলাস থুরিনজেনসিস ইসরায়েলেনসিস (বিটিআই) কীটনাশক আমদানি করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। আমদানি ও প্রয়োগ শুরুর পরপরই এই বিটিআই ভেজাল বলে অভিযোগ উঠেছে।
আর এই অভিযোগের ফলে আমদানিকারক মার্শাল এগ্রোভেটকে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে সব তথ্য চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।সেই সঙ্গে নগর ভবনের অডিটোরিয়ামে আবারও বিটিআই এর কার্যকারিতা টেস্ট করা হবে এবং কেউ নিজেরাও পরীক্ষার জন্য বিটিআই সংগ্রহ করতে পারবেন বলে ডিএনসিসি থেকে জানানো হয়েছে।

এর আগে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের যেসব ভবনে ও স্থানে লার্ভা পাওয়া গিয়েছিল বুধবার সকালে সেগুলোতে পুনরায় অভিযান পরিচালনা ও ডেঙ্গু সচেতনতা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে মেয়র এসব কথা বলেন। মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সব প্রটোকল মেইনটেইন করে সিঙ্গাপুর থেকে লার্ভা ধ্বংসে কার্যকরী বিটিআই এনেছি। আশা করি এটি ব্যবহারে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। প্ল্যান প্রটেকশন নীতি অনুযায়ী এই বিটিআই যে কউ আমদানি করতে পারবে। ফলে সবচেয়ে কম দামে যে কোম্পানি পিপিআর দিয়েছে, মার্শাল এগ্রোভেট, তাদেরকেই কাজ দেয়া হয়।

পিপিআরে কোথাও বলা ছিল না কোন দেশ থেকে আনতে হবে। আনার পরে জাহাঙ্গীরনগর কীটতত্ত্ব বিভাগে পরীক্ষা করা হয়, সেখানে কার্যকর প্রমাণিত হয়। পরবর্তীতে ডিএনসিসি ইভ্যুলেশন কমিটি, আইইডিসিআর সবাই এটাকে কার্যকর বলেছে। যদিও মার্শাল এগ্রোভেট যেহেতু দাবি করেছে তারা সিঙ্গাপুরের বেস্ট ক্যামিকেলস থেকে এনেছে, এজন্য তাদের কাছে আরও তথ্য চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে। সেখানে জানতে চাওয়া হয়েছে তারা কোন কোম্পানি থেকে এনেছে, কার মাধ্যমে এনেছে।

তিনি বলেন, পাঁচ টন বিটিআই মাত্র আনা হয়েছে পরীক্ষামূলকভাবে, আমাদের প্রয়োজন হবে হাজার টন। চাইলে বিটিআই সংগ্রহ করে যে কেউ পরীক্ষা করে দেখতে পারেন যে এটা কার্যকর বিটিআই নয়। মার্শালের বিরুদ্ধে অন্যায়ের প্রমাণ পাওয়া গেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অভিযান সম্পর্কে মেয়র বলেন, জাপান গার্ডেনের জায়গায় এটি আগে ছিল লার্ভা গার্ডেন। প্রতিটি বেইসমেন্টে লার্ভা ছিল। কিন্তু তারা আজকে লার্ভা পরিষ্কার করেছে, রোজ গার্ডেনের মতো। প্রমাণ হলো যে জনগণ যদি সম্পৃক্ত হয় মশার উপদ্রব কমানো সম্ভব। যত টাকা যারা জরিমানা দিয়েছেন তার চেয়ে অনেক কম খরচে লার্ভা পরিষ্কার তারা করেছেন। গত দেড় মাসে যেখানে অভিযান চালানো হয়েছে সেখানে আবারও রিভার্স অভিযান চলবে।

ঢাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা কম জানিয়ে তিনি বলেন, অধিকাংশই ঢাকার বাইরের রোগী। অর্থাৎ মানুষ সচেতন হয়েছে কারণ তারা জরিমানা দিয়েছে। দেড় মাসে প্রায় দেড় কোটি টাকা জরিমানা হয় যার পুরোটাই রাজস্ব বিভাগে জমা হয়েছে। যদি এই টাকাটা সিটি করপোরেশন পেত তবে এই টাকা মশক নিধনেই ব্যয় করা যেত।

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button