ওয়েলকাম বাশারের অবৈধ ডলার বাণিজ্
মতিঝিল দিলকুশায় ডলার নিয়ন্ত্রণ করছিল এনএসআই ও বিএফআইইউয়ের অভিযান
বিশেষ প্রতিনিধি : ডলার এর বাজার অস্থিতিশীল করছিল অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জ ওয়েলকাম এর মালিক বাশার। একসময় দালালি করত। পরে ডলার কেনা বেচার নিয়ন্ত্রক বনে যায়। মতিঝিলের দিলকুশায় বসে প্রকাশ্য ডলার ক্রয় বিক্রয় করছিল। এমনকি কোথাও ডলার না পাওয়া গেলে বাশারের কাছে পাওয়া যেত। তখন বাসার নিজের ইচ্ছা মত ডলারের দর ধরে ফায়দা লুটত। পরে ঘটনা ফাঁস হয়ে গেরে অভিযান চালায় এনএসআই।
সূত্র জানায়, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই ও বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বিএফআইইউয়ের উদ্যোগে মতিঝিলের অনুমোদনহীন ওয়েলকাম মানি এক্সচেঞ্জে অভিযান চালিয়ে প্রাক এক কোটি টাকা সমমূল্যের দেশি-বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে।গত কয়েকদিন ধরে নজরদারি চালিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরের পর ওয়েলকাম মানি এক্সচেঞ্জে অভিযান শুরু হয়। চলে রাত পর্যন্ত।
অভিযানে বিভিন্ন নোটের মোট ৯৬ লাখ ৬৬ হাজার ৫৯০ টাকা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া ৬ হাজার ৯০০ কানাডিয়ান ডলার, ৮৫৫ সৌদি রিয়াল, ৩৬১ ইউএস ডলার, ১০০ ইন্ডিয়ান রুপি, ১ কুয়েতি দিনার, ১০০ পয়সা ওমানি রিয়েল এবং বিভিন্ন দেশের কয়েন পাওয়া গেছে।
কয়েক দিন ধরে ডলার বাজার পুনরায় অস্থিতিশীল করার জন্য একটি গ্রুপ রাজধানীর বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কাজ করছিল বলে তথ্য পায় গোয়েন্দারা। এতে বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জ, বেসরকারি ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখা কতিপয় ব্যক্তি এবং হুন্ডি ব্যবসায়ীদের জড়িত থাকার বিষয় উঠে আসে।এরই ভিত্তিতে দিলকুশার ওয়েলকাম মানি এক্সচেঞ্জে অভিযানের উদ্যোগ নেয় এনএসআই ও বিএফআইইউ। অভিযানে সঙ্গে নেয়া হয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডিকে।
এনএসআই সূত্রে জানা গেছে, ওয়েলকাম মানি এক্সচেঞ্জ পরিচালনার জন্য বর্তমানে কোনো অনুমোদন নেই বলে জিজ্ঞাসাবাদের জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক আবুল বাশার (৫৫)। তিনি নিজেকে জমির দালাল হিসাবে পরিচয় দেন। তার বাড়ি কুমিল্লার দেবীদ্বারে। আবুল বাশার মূলত মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসার আড়ালে হুন্ডির মাধ্যমে অর্থপাচারে জড়িত বলে গোয়েন্দাদের ধারণা।