বিশেষ প্রতিনিধি : আবারও কি পরিমল কাহিনী ভিকারুননিসায়! ওই সময় পরিমল কাহিনীতে স্কুলের সুনামের ধস নেমেছিল। বিচারের জন্য রাস্তায় নামতে হয়েছিল ভুক্তভোগীদের। এবারও ঠিক সে পর্যায়ে যাবে কিনা তা শিগগির খোলাসা হবে। এবার রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম আবু সুফিয়ান। তিনি ভিকারুননিসার বসুন্ধরা শাখার ইংরেজি শিক্ষক। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীও ওই শাখার ছাত্রী।
এর আগে ২০১১ সালে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা শিক্ষক পরিমল জয়ধর ওই প্রতিষ্ঠানের এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। ওই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। ২০১৫ সালে আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।জানা গেছে, গত ২৩ আগস্ট নবম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীর বাবা তার মেয়েকে যৌন হয়রানি করা হয়েছে বলে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলামের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। গত ৩১ আগস্ট সহকারী কমিশনার আল আমিন হালদারকে অভিযোগটি তদন্তের দায়িত্ব দেন বিভাগীয় কমিশনার।
লিখিত অভিযোগে শিক্ষার্থীর বাবা উল্লেখ করেন, ‘আমার মেয়ে ভিকারুননিসা স্কুলের বসুন্ধরা শাখার নবম শ্রেণির দিবা শাখার ছাত্রী। ওই শাখার ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক আবু সুফিয়ানের কাছে সে প্রাইভেট পড়তে যেত। ওই শিক্ষক প্রাইভেট পড়ানোর ফাঁকে বিভিন্ন সময় আমার মেয়েকে অশালীন খুদেবার্তা (এসএমএস) পাঠিয়েছে, যেগুলো খুবই আপত্তিকর ও সম্মানহানীকর। একজন শিক্ষকের কাছ থেকে এমন আচরণ আশা করা যায় না। আমি এ ঘটনার প্রতিকার চাই।’ এ সম্পর্কে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে জানান, এসব ইস্যুতে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম বলেন, গতকাল (২ সেপ্টেম্বর) তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার কথা ছিল, এখন পর্যন্ত জমা হয়নি। আশা করছি আগামীকাল সোমবার প্রতিবেদন পাব।এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরীকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
ভিকারুননিসার বসুন্ধরা শাখার এক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তের বলেন, শিক্ষক আবু সুফিয়ান তার বাসায় ব্যাচ করে প্রাইভেট পড়ান। তার বিরুদ্ধে এর আগেও একই ধরনের অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ তা এড়িয়ে গেছে।