স্টাফ রিপোর্টার : বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাড়ানো হচ্ছে নিত্যপণ্যের দাম। পর্যাপ্ত মজুত থাকার পরও এ কাজ করছে কয়েকটি বিশেষ মহল। বাজার পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশের বিশেষ সভায় উঠে এসেছে এসব তথ্য। এ সময় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান জানান, এর পেছনেই যারাই থাকুক, কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
বাজারের ঊর্ধ্বগতির কারণ ও নিয়ন্ত্রণ প্রশ্নে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, সিটি করপোরেশন ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে বিশেষ সভায় বসে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এ সময় ব্যবসায়ীরা জানান, দাম নিয়ন্ত্রণে প্রান্তিক পর্যায় থেকে খুচরা বাজার পর্যন্ত তদারকি করতে হবে। পণ্য পরিবহনে বাধা অপসারণ ও বন্ধ করতে হবে চাঁদাবাজি।এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘এই কাঁচামাল আসার সময় যেন রাস্তায় কোনো বাধা না পড়ে। যেন কোনো চাঁদা না দেওয়া লাগে।’
দাম বাড়ানোর জন্য মধ্যস্বত্বভোগীদের দায়ী করেন বক্তারা। ভোক্তা অধিকার জানিয়েছে, খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা না পাওয়ার কথা। আর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, বাজার সমিতিগুলো দায়িত্ব পালন না করাতেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাচ্ছে পরিস্থিতি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম নিয়ন্ত্রক শামীমা আক্তার বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ে কিন্তু আমরা সকল বাস্তবায়নকারী সংস্থার প্রতিবেদনগুলো পাই। তাদের সুপারিশে কিন্তু উঠে আসে কি পরিমাণ পরিবহনকালে চাঁদাবাজি হয় বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি।’
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের আব্দুল জব্বার বলেন, ‘যখন একজনকে ধরতে পারি সে বলে অমুক জায়গা থেকে নিয়ে এসেছি। বা অমুক জায়গায় পেয়েছি। আমাদের কাছে মনে হয়েছে ব্যবসায়ীরা যোগসাজস করে একে অপরের ওপর দোষ চাপিয়ে দিয়ে অর্থ বাগিয়ে নিচ্ছে।’বাজারে সব পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত আছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান জানান, সমন্বয়ের অভাবেই দাম বাড়াতে পারছে কিছু মহল। তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
হাবিবুর রহমান বলেন, ‘যদি এ ধরনের কোনো কিছু আমাদের কাছে স্পষ্টভাবে আসে। এটি আমি পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দিতে চাই। যে কোনো সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ডিএমপি যে কোনো অবস্থায় তৎপর।পণ্য পরিবহনের সময় সড়কে চাঁদাবাজি হলে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারিও দেন ডিএমপি কমিশনার।