কোর্ট রিপোর্টার : পুলিশের কাজে বাধা ও গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুনানির সময় আদালতকে এ্যানি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমাকে থানায় নিয়ে মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে।বুধবার (১১ অক্টোবর) তাকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার এসআই শহীদী হাসান।
রিমান্ড আবেদনে তিনি বলেন, ‘গত ২৩ মে রাজধানীর সিটি কলেজের সামনে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সেদিন আসামিরা পুলিশের ওপর আক্রমণ করে, ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। পরস্পর যোগসাজশে সরকার উৎখাত করাসহ জনসাধারণের জানমালের ক্ষতিসাধন করার জন্য আসামিরা এই কাজ করেছে। এ্যানিও এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনার সঙ্গে আরও যারা জড়িত ছিল তাদের শনাক্ত করা প্রয়োজন।’
এ সময় এ্যানিকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতকে এ্যানি বলেন, গভীর রাতে পুলিশ তার বাসা ঘিরে ফেলে। তিনি পুলিশকে অপেক্ষা করতে বলেন। পুলিশকে এ্যানি বলেন, ‘ফজরের নামাজ পড়ে আমি বের হচ্ছি।’ কিন্তু পুলিশ অপেক্ষা না করেই বাসার দরজা ভেঙে তাকে টেনে হিঁচড়ে বের করে নিয়ে আসে। এ সময় পুলিশ মারমুখী ছিল।শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে ধানমন্ডির বাসা থেকে আটক করে ধানমন্ডি থানা-পুলিশ। বুধবার সকালে বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন এ্যানিকে আটকের বিষয়টি জানান। জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, ‘মধ্যরাতে এ্যানিকে দরজা ভেঙে তুলে নিয়ে গেছে পুলিশ।