বিশেষ প্রতিনিধি : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সন্ত্রাসের সঙ্গে কোনো সংলাপ হয় না। বিএনপি সন্ত্রাসী দল। সংলাপের পাট শেষ। এক সময় বলেছিলাম বিএনপি চার দফা দাবি তুলে নিলে বিবেচনা করব, কিন্তু বিএনপি যা করেছে তাতে সংলাপের আর কোনো পরিবেশ নাই।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পর তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রসঙ্গ নাকচ করে দিয়েছেন। সংলাপের পাট শেষ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
রোববার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে এ প্রসঙ্গে কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সন্ত্রাসের সঙ্গে কোনো সংলাপ হয় না। বিএনপি সন্ত্রাসী দল। সংলাপের পাট শেষ। এক সময় বলেছিলাম বিএনপি চার দফা দাবি তুলে নিলে বিবেচনা করব, কিন্তু বিএনপি যা করেছে তাতে সংলাপের আর কোনো পরিবেশ নাই।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশ হত্যা থেকে শুরু করে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, হাসপাতালে হামলা, সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ, হরতাল অবরোধের নামে বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনার দায় কোনভাবেই বিএনপি এড়াতে পারে না। এইসব ঘটনার জন্য বিএনপিই দায়ী।’তিনি বলেন, ‘যে বড় নেতারা আটক হয়েছে, তারা একজনও কি দায় এড়াতে পারবে? পুলিশ হত্যা থেকে শুরু করে সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ। পুলিশের ওপর আক্রমণ, বাস পুড়িয়ে হেলপার মারা, হাসপাতালে গিয়ে হামলা চালানো- এসব দায় মির্জা ফখরুলসহ কেউ কি এড়াতে পারে?
‘যদি বিচারের কাঠগড়ায় তাদের দাঁড় করানো হয়, একজনও এড়াতে পারবে না। নেতাদের নির্দেশে এসব অপকর্ম হয়েছে, সন্ত্রাস হয়েছে। কানাডার আদালত যথাযথই বলেছে, এটি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমীর খসরু আওয়ামী লীগকে কখনো বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেন, কখনো কর্ণফুলীতে ফেলে দেন, আবার কখনো বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেন; এখন নিজে কোথায় গেছেন? খবরই নেই ।‘
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সেদিন তারা (২৮ অক্টোবর) যে নাটক সাজিয়েছিল, আপনারাই বলুন, এই দল কী না করতে পারে? তারা সেদিন নাটক সাজিয়েছে, সেদিন সরকারের পতন হবে। সরকারের পতনের জন্য বাইডেনের ভুয়া দোস্ত এখানে এনেছে। বাইডেন তো দূরে থাক, তার বাড়ি উল্লাপাড়া।’তিনি বলেন, ‘হাসান সারওয়ার্দীর মতো চতুর লোক, যে বারবার সেনাবাহিনীর মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে, রিটায়ারমেন্টের পর সেনাবাহিনীতে অপপ্রচার, গুজব যারা সৃষ্টি করে তাদের নায়ক হচ্ছে সারওয়ার্দী। তাকে নিয়ে এসেছে।’
১২টি রাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে পোশাক নিতে অনীহা প্রকাশ করেছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এসব গুজব।’ দেশকে খারাপ পরিবেশ থেকে রক্ষা করার জন্য নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং বিজিবি নামানো হয়েছে বলে আরেক প্রশ্নের জবাবে জানান তিনি।
এদিকে, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমা কার্যক্রম বঙ্গববন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়েই হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন, আমাদের আটটি বিভাগ, আটটি বিভাগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ এবং জমা এখানে নেয়া হবে। যারা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করবে তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা করে জমা দিতে হবে। কবে থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে সেটা আমরা জানাব।