বিশেষ প্রতিনিধি : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচল আছে, বিদেশি শক্তির থাবা আছে, তাই বিতর্কমুক্ত নির্বাচন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেই কাজ করছি। গণতন্ত্র বাঁচাতে হলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে উল্লেখ করে আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে দেশ সংকটে। নির্বাচনের দিনটি গুরুত্বপূর্ণ। হয় সফল না হয় ব্যর্থ হব। বিতর্ক হবে না- এমন ফলাফল চায় নির্বাচন কমিশন। তবে আমরা অবশ্যই সফল হব। আমরা দেখতে চাই গ্রহণযোগ্য ভোট।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকালে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির সদস্যের নির্বাচনী আইন বিধি ও কর্মপদ্ধতি বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের উদ্দশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হবে। ভোটের দিন দশগুণ বেশি নজর রাখবেন। বাক্সগুলো ওপেন করা হবে, সবাই প্রতিটি কেন্দ্রে চোখ রাখবেন। আপনারা থানার ওসিদের মতো হবেন না।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৩০০ ‘নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি’ গঠন করে গত বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ইসি। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দায়িত্ব পাওয়া নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য নির্বাচন কমিশনে ন্যস্ত থাকবেন। এসব কমিটি দায়িত্ব পালনকালে নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম সংঘটিত হলে, তা অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন পাঠাবে সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে। এরপর সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ওই অনুসন্ধান প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবের কাছে পাঠাবেন।এই কমিটির সদস্যরা যাতে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন সেজন্য আইন বিধিবিধান বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
দিনব্যাপী এ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের প্রথম পর্যায়ে আজ জাতীয় সংসদের ৫২ থেকে ১৫৬ পর্যন্ত নির্বাচনি এলাকার মোট ১০৫ জনের প্রশিক্ষণ হচ্ছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১ থেকে ৫১ ও ২৪৯ থেকে ৩০০ পর্যন্ত নির্বাচনি এলাকার ১০৩ জনের প্রশিক্ষণ আগামী ২৮ নভেম্বর এবং তৃতীয় পর্যায়ে ১৫৭ থেকে ২৪৮ পর্যন্ত নির্বাচনি এলাকার ৯২ জনের প্রশিক্ষণ ২৯ নভেম্বর হবে।