মার্কেট সরকারি করে দেয়ার লোভ-প্রলোভনে ধরা এমপি মিতা
![](https://dainiksottokothaprotidin.com/wp-content/uploads/2023/12/Mita-mp-dainik-sotto-kotha-protidin.jpg)
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : মার্কেট সরকারি করে দেয়ার লোভ দেখিয়েছেন এমপি মিতা। ব্যবসায়ীদের দেয়া এ প্রলোভন ফাঁস হয়ে গেলে ধরা পড়েন এমপি মিতা। এ ঘটনার প্রেক্ষাপটে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মিতার কাছে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে।
আসনটির নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম গতকাল বুধবার মাহফুজুরের কাছে ব্যাখ্যা তলব করে চিঠি দিয়েছেন।চট্টগ্রাম-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মিতাকে ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে সশরীরে বা প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দিতে চিঠিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মিতাকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, আসনটির স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল উদ্দিন চৌধুরী নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এতে বলা হয়, ৪ ডিসেম্বর সন্দ্বীপের এরশাদ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের পরিকল্পিতভাবে প্রলোভন দেখিয়ে বাসায় নিয়ে যান মাহফুজুর। এ সময় মাহফুজুর ব্যবসায়ীদের প্রতিশ্রুতি দেন যে তিনি নির্বাচিত হলে এই মার্কেটটি (বিপণিবিতান) সরকারি করে দেবেন।
একইভাবে শিবের হাটের ব্যবসায়ীদের তিনি প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর বাসায় নিয়ে যান। এ ছাড়া ৪ ডিসেম্বর মাইটভাঙা সিনেমা হল এলাকায় মাহফুজুর নিজে উপস্থিত থেকে তাঁর নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন করেছেন বলে অনুসন্ধান কমিটির কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।
নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের এসব অভিযোগের বিষয়ে মাহফুজুরকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এসব অভিযোগ সম্পর্কে মাহফুজুর রহমান মিতার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্ঠা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তাকে সেল ফোনে কলা দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এর আগে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, চট্টগ্রাম-১২ আসনের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর কাছে ব্যাখ্যা তলব করে চিঠি দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।