বিশেষ প্রতিনিধি : অবশেষে কপাল খুলল স্বতন্ত্র লীগের! মানে আওয়ামী লীগের হয়ে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছিলেন তারা প্রতিদ্বন্দ্বীতা থেকে সরবেন না। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই তাদের জিতে আসতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই জিততে হবে। সে যেই হোক তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই নির্বাচন হবে।
প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোনো বিকল্প নেই। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই নির্বাচনে ফলাফল আনতে হবে। আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে দলীয় প্রার্থীদের অস্বস্তি এবং জোটের শরিকদের আপত্তি থাকলেও তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই টিকে থাকতে হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডিস্থ কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জোটের শরিকদের আপত্তি ও দলীয় প্রার্থীদের অস্বস্তি থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের সুযোগ নেই। নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছে, সে যেই হোক তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই নির্বাচন হবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোনো বিকল্প নেই। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই নির্বাচনে ফলাফল আনতে হবে।আওয়ামী লীগের হোক কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থী, নির্বাচন কাউকে সহিংসতা করতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সব বিষয়ে সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার পক্ষে নয় আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত থাকলে আওয়ামী লীগের আপত্তি নেই। নির্বাচনে সেনাবাহিনীর ভূমিকার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনই তাদের অনুরোধ করবে।
প্রার্থীদের সম্পদ নিয়ে নির্বাচন কমিশন কাউকে দুর্নীতিগ্রস্ত মনে করলে তার নমিনেশন কমিশন বাতিল করতে পারে বলে মত দেন তিনি।নির্বাচন নিয়ে বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে প্রশাসনকে শক্ত অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন পূর্ববর্তী ষড়যন্ত্র যেমন চলছে তেমনি নির্বাচন পরবর্তীও ষড়যন্ত্র হতে পারে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন, দেশে নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য বড় হুমকি বিএনপি। সহিংসতা করে, ষড়যন্ত্র করে সাত জানুয়ারি নির্বাচনকে বানচাল করা যাবে না। বিএনপি যদি মনে করে তারা সন্ত্রাস করবে আর সরকার বসে থাকবে, এটা ভুল ধারণা। হামলা সহিংসতায় কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, উপ দপ্তর সায়েম খান প্রমুখ।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট হবে। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ বলছে, দল থেকে যারা মনোনয়ন পাননি ভোট করতে পারবেন তারাও।তবে দলীয় অনেক প্রার্থী এ সিদ্ধান্ত নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন। এর সঙ্গে ১৪ দলের জোট সঙ্গীরাও আপত্তি তুলেছেন বিষয়টি নিয়ে।