এবার ট্রাকে লড়বেন রাঙ্গা
স্টাফ রিপোর্টার রংপুর : এবার ট্রাকে লড়বেন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসকের হল রুমে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেন রংপুর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান। এ সময় মসিউর রহমান রাঙ্গাঁর পক্ষে প্রতীকসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গ্রহণ করেন তার প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী মমিনুর ইসলাম।
মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ রংপুর-১ (গংগাচড়া ও রংপুর সিটির ১ থেকে ৮ নং ওয়ার্ড) আসনে প্রথম মহাজোট থেকে ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনয়নে তিনি ওই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।২০১৮ সালে একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালে রাঙ্গা বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ হিসেবে মনোনয়ন লাভ করেন। বর্তমানে তিনি বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন।
মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মহাসচিব পদে ছিলেন। তাকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জাতীয় পার্টির সব ধরনের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। যার কারণে এ আসনে এবারে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে ওই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জিএম কাদেরের ভাতিজা হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফকে।
রংপুর-১ আসনে মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ ছাড়াও গংগচড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবলু ‘কেটলি’, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ ‘লাঙ্গল’, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির বখতিয়ার হোসেন ‘হাতুড়ি’, তৃণমূল বিএনপির বদরুদ্দোজা চৌধুরী ‘সোনালী আঁশ’, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির হাবিবুর রহমান ‘আম’, বাংলাদেশ কংগ্রেসের শ্যামলী রায় ‘ডাব’, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশারফ হোসেন ‘মোড়া’ এবং আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহীনুর আলম ‘ঈগল’ প্রতীক পেয়েছেন।
রংপুর জেলার ৬টি আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী রংপুর-১ আসনে। এ আসনটিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তাদের মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজুকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। বর্তমানে চারজন স্বতন্ত্রসহ মোট ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আসনটিতে মোট ভোটার রয়েছে তিন লাখ ৩২ হাজার ৪৬ জন।