কোথায় গেল ৯২ হাজার কোটি! সিপিডির কাছে কাদেরের প্রশ্ন-
‘এই বিরানব্বই হাজার কোটি টাকা কোথায় গেল? কোথায় আছে সেটা আগে বলেন। সেটার সন্ধান দিলে আমরা জবাব দেব।
স্টাফ রিপোর্টার : সিপিডির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা পাচার হওয়া ৯২ হাজার কোটি টাকার হদিস চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর কার্যালয়ে এক সাংবাদিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই বিরানব্বই হাজার কোটি টাকা কোথায় গেল? কোথায় আছে সেটা আগে বলেন। সেটার সন্ধান দিলে আমরা জবাব দেব।কাদের বলেন, ‘সব কিছু শতভাগ পারফেক্ট হব তা আমরা দাবি করি না। সমালোচনা শুদ্ধ করে। সমালোচনা হলে শুদ্ধ হবার একটা সুযোগ হয়। পার্লামেন্টে সমালোচনা হলে আমর শুদ্ধ হতে পারি।’
তিনি আরো বলেন, ‘এখন বড়দিন উপলক্ষে আমেরিকান রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের বাইরে সম্ভবত ইন্ডিয়ায় আছে। যারা নিষেধাজ্ঞা, ভিসা নীতি নিয়ে এত কথা বলছেন, যারা নির্বাচনে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা নীতি আমেরিকার বহুল প্রচলিত ঘোষণা। আমেরিকার ৫ জন প্রতিনিধি আছে বাংলাদেশে। আমেরিকার ক্ষমতার রাজনীতির দুই প্রধান দল ডেমোক্রেট ও রিপাবলিক এর ৫ জন প্রতিনিধি এখন বাংলাদেশে আছে। আমরা তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন সংক্রান্ত অভিযোগ সব নির্বাচন কমিশন দেখবে। যেহেতু এটি নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত বিষয়, এটি স্বাধীন। আচরণ বিধি যথাযথ প্রয়োগ, বিশৃঙ্খলা নিয়ে আইন প্রয়োগ করবে কমিশন। আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল সবাই প্রতিদ্বন্দ্বী। এই প্রতিযোগিতা যদি বিশৃঙ্খলায় আবর্ত হয়, নির্বাচন কমিশন যে ব্যবস্থা নেবে আওয়ামী লীগ দল হিসেবে আপত্তি করবে না।’
আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে চায় জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে চাই। কারো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি অধিকার নেই। সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ার সুযোগ নেই। আমরা এটাকে সমর্থন করি না। কমিশন যে ব্যবস্থা নেবে আমরা তার সাথে আছি।’
বিএনপির লিফলেট বিতরণ শান্তির পরিবেশকে বাধাগ্রস্ত করা জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির লিফলেট বিতরণ করবে কেন? নির্বাচনের বিরুদ্ধে। অসহযোগ করবে নির্বাচনের বিরুদ্ধে। নির্বাচনের বিরুদ্ধে শান্তির প্রোগ্রাম হয় না। নির্বাচনী শান্তির পরিবেশকে বাধাগ্রস্ত করা। আমরা এটুকুই বুঝি।’
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।