কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারের চকরিয়ায় পিকনিক বাস ও মিনি পিকআপের (ম্যাজিক গাড়ি) মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় মুহূর্তেই লাশ হয়েছেন ম্যাজিক গাড়ির ৪ যাত্রী। গুরুতর আহত হয়েছেন ৫ জন। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার উত্তর হারবাং কলাবাগান এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহতেরা হলেন— চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের উত্তর হারবাং করমুহুরীপাড়ার মোস্তাক আহমদের ছেলে মো. রিদুয়ান (৩৩), একই ইউনিয়নের পূর্ব বৃন্দাবনখিল সামাজিকপাড়ার মৃত রশিদ আহমদের ছেলে আবু বক্কর (৪২), উত্তর হারবাং বত্তাতলী এলাকার মোজাফফর আহমদের ছেলে মো. মহি উদ্দিন (৩০) এবং পূর্ব বৃন্দাবনখিল সামাজিকপাড়ার বাদশা মিয়ার ছেলে মো. জয়নাল আবেদীন (৩৪)। তারা চারজনই শ্রমিক। এ ঘটনায় আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে তাদের পরিচয় পাওয়া য়ায়নি।
স্থানীয় ও হাইওয়ে থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার অভিমুখে যাওয়া পিকনিক বাসটি জাকির ট্রাভেলস (ঢাকা মেট্রো-ব-১৩-১৩১৫) বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে উত্তর হারবাং কলাবাগান এলাকায় অতিক্রম করছিল। এ সময় মিনি পিকআপের সঙ্গে (চট্টমেট্রো ন-১১-১৭৮৯) মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তেই মিনি পিকআপটি দুমড়েমুচড়ে যায়। বাসটি রাস্তার পাশে পড়ে যায়।
মিনি পিকআপে থাকা যাত্রী রিদুয়ান, আবু বক্কর, মহিউদ্দিন ও জয়নাল আবেদীন নামে চারজন শ্রমিক ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। এছাড়া আরো কয়েকজন যাত্রী গুরুতর আহত হন।
এদিকে খবর পেয়ে মহাসড়কের চিরিংগা হাইওয়ে থানা পুলিশ, চকরিয়া ফায়ার সার্ভিস, হারবাং পুলিশ ফাঁড়িসহ স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালান। গুরুতর আহতদের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করে চিরিংগা হাইওয়ে থানা হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।
মহাসড়কের চিরিংগা হাইওয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক মাহবুবুল হক ভুঁইয়া দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করে চিরিংগা হাইওয়ে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তবে এ দুর্ঘটনায় বাসের গাড়ির চালক ও হেলপার পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, বর্তমানে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। নিহতের লাশ আইনানুগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।