পাহাড় বাঁচাতে সাইনবোর্ড
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : এবার চট্টগ্রামে পাহাড় বাঁচাতে সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। চট্টগ্রামে ২৬টি পাহাড়ে সাইনবোর্ড স্থাপন করেছে জেলা প্রশাসন। সাইনবোর্ডগুলো স্থাপন করা পাহাড়গুলোর মধ্যে ১৬টি সরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও ১০টি ব্যক্তিমালিকানাধীন। চট্টগ্রাম নগরীর লিংক রোড, ক্যান্টনমেন্ট, রাউফাবাদসহ বিভিন্ন এলাকায় ঝুঁকিতে থাকা এসব পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে ৬ হাজার ৫৫৮টি পরিবার বসবাস করছে।
পাহাড় কাটার আশঙ্কা আছে এমন পাহাড়গুলো রক্ষায় এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এসব পাহাড়ের মধ্যে ১৬টি সরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও বাকি ১০টি ব্যক্তিমালিকানাধীন।সোমবার চট্টগ্রাম নগরীর লিংক রোড, ক্যান্টনমেন্ট, রাউফাবাদসহ বিভিন্ন এলাকায় ঝুঁকিতে থাকা পাহাড়ের পাদদেশে এসব সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়। এসব পাহাড়ে বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণভাবে ৬ হাজার ৫৫৮টি পরিবার বসবাস করছে।
এর আগে ৮ আগস্ট চট্টগ্রাম পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ২৭তম সভার সিদ্ধান্ত ও উচ্চ আদালতের রিট পিটিশন আদেশ অনুযায়ী পাহাড় ও টিলা কাটায় নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে মাঠে নামে জেলা প্রশাসন। তারই অংশ হিসেবে সোমবার ঝুঁকিতে থাকা এসব পাহাড়ের পাদদেশে সাইনবোর্ড স্থাপন করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করলে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আবদুল মালেক, রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মাজহারুল ইসলাম, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.বি.এম মশিউজ্জামান, কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. উমর ফারুক, হাটহাজারী সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবু রায়হান, চট্টগ্রাম মহানগরের সদর সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) খন্দকার মাহমুদুল হাসান, আগ্রাবাদ সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ খায়রুল ইসলাম চৌধূরী, চান্দগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফেরদৌস আরা, বাকলিয়া সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ. এফ. এম শামীম, স্টাফ অফিসার ও সহকারী কমিশনার প্লাবন কুমার বিশ্বাস প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ‘পাহাড় ধসের বিষয়ে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ এবং সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। পাহাড় কাটার দায়ে প্রায় ৩০ জনের বিরুদ্ধে পরিবেশ আদালতে মামলা চলমান। পাহাড় কাটা প্রতিরোধে মনিটরিং ও নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।’তিনি আরও বলেন, ‘পাহাড়খেকোরা যত শক্তিশালীই হোক না কেন তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে অবৈধ বসবাসকারীদের নিরাপত্তার উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
‘সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পাহাড় কাটা পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব নয়। তবে এসব বিজ্ঞপ্তি দেখে অন্তত জনসাধারণ পাহাড় কাটার বিষয়ে সচেতন হবে। পাহাড়ে অবৈধ দখল ও কাটতে দেখলে তারা সরাসরি থানা, পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করতে পারবেন। পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। পাহাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদেও নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা নিজ উদ্যোগে পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের যাতে সরিয়ে নেয় সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।