কোনো টাকা মারিনি-চুন্নু
প্রমাণ করতে পারলে পদ ছেড়ে দেব-
রোববার যারা সমবেত হয়ে দলের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন, তাদের কেউই পাশ করার মতো প্রার্থী ছিলেন না।
স্টাফ রিপোর্টার : নির্বাচনে গিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিব অনেক টাকা পেয়ে প্রার্থীদের না দিয়ে আত্মসাৎ করেছে- এমন অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে মহসচিবের পদ ছেড়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন মুজিবুল হক চুন্নু।সোমবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, পরাজিতরা কারো ইন্ধনে এমন সংগঠন বিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন। তবে কে ইন্ধন দিচ্ছে তা সময়মতো প্রকাশিত হবে।
তিনি আরও বলেন, রোববার যারা সমবেত হয়ে দলের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন, তাদের কেউই পাশ করার মতো প্রার্থী ছিলেন না।জাপা মহাসচিব বলেন, পার্টির সর্বোচ্চ নেতাদের নিয়ে উশৃঙ্খল বক্তব্য দেওয়ায় সাবেক মন্ত্রী কাজী ফিরোজ রশীদ ও এইচএম এরশাদের সাবেক প্রেস সচিব সুনীল শুভ রায়কে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের বহিষ্কার করার কারণে দলে ভাঙনের কোনো শঙ্কা নেই। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) জাপার যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলমের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে ফিরোজ রশীদ ও সুনীল শুভরায়কে বহিষ্কারের বিষয়টি জানা যায়।
এতে বলা হয়েছে, জাতীয় পার্টির মাননীয় চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি দলীয় গঠনতন্ত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে কাজী ফিরোজ রশিদ ও সুনীল শুভরায়কে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ সহ দলীয় সকল পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি প্রদান করেছেন। যা ইতোমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে।এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভরাডুবির জেরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে তুলোধুনো করেছেন দলটির পরাজিত প্রার্থীরা।
রোববার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে নির্বাচনে অংশ নেওয়া জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের এক মতবিনিময় সভায় বক্তরা জিএম কাদের ও চুন্নুকে ‘বাটপার, প্রতারক’ বলেও গালাগাল করেন।দলটির বিক্ষুব্ধ নেতাদের দাবি, নির্বাচন উপলক্ষে সরকার জাতীয় পার্টিকে অনেক টাকা দিয়েছে। বেশি আসনে ছাড় দিতেও রাজি ছিলো। কিন্তু নিজেদের ব্যর্থতার কারণে জাতীয় পার্টি সেটা আদায় করতে পারেনি। এর জন্য দলের মহাসচিব চুন্নু বেশি দায়ি বলে মনে করেন তারা।