ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : স্মাগলিংয়ের টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে জোড়া খুন হয়েছে ঝিনাইদহে। জেলার মহেশপুর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী জানান, ‘চোরাচালানের টাকার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বের’ জেরে প্রতিপক্ষের গুলিতে দুইজন নিহত হয়েছেন। বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার নেপা ইউনিয়নের বাঘাডাঙ্গা গ্রামের পলিয়াটি পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন মহেশপুর থানার ওসি মো. মাহবুবুর রহমান।
নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের শামসুল মণ্ডলের ছেলে শামীম মণ্ডল (৩৫) ও নয়ন মণ্ডলের ছেলে মন্টু মণ্ডল (৫০)। তারা সম্পর্কে চাচা ভাতিজা।নেপা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম মৃধা বলেন, চোরাচালানের টাকার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে শামীম ও মন্টুর সঙ্গে প্রতিপক্ষ তরিকুল ইসলাম ও তার পরিবারের বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে আগেও তাদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। থানায় পাল্টাপাল্টি মামলাও রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিহত শামীমের ভাই রফি মণ্ডলের সঙ্গে একই গ্রামের পেনা মণ্ডলের ছেলে তরিকুল ইসলাম আকালের স্বর্ণ চোরাকারবারির সম্পর্ক ছিল। একপর্যায়ে তরিকুল ইসলাম আকালে রফি মণ্ডলের স্বর্ণ ব্যবসার প্রায় ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। এই টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে গত দুই মাস ধরে সমস্যা চলছিল। এরই জের ধরে বুধবার বিকাল ৪টার দিকে রফির ভাই মন্টু ও ভাতিজা শামীম হোসেনসহ ৫-৭ জন সংঘবদ্ধ দল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আকালের বাড়িতে হামলা চালায়।
শামসুল আরও বলেন, দুই পক্ষই ভারতে নানা কারবারের সঙ্গে জড়িত। এ নিয়ে বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।স্থানীয়দের বরাতে ওসি মাহবুবুর বলেন, বুধবার বিকালে শামীম ও মন্টু তাদের লোকজন নিয়ে তরিকুল ও আকালে মণ্ডলদের বাড়িতে হামলা করেন। এ সময় তরিকুলের বাড়ির ছাদ থেকে গুলি ছোড়া হয়। এতে শামীম ও মন্টু গুলিবিদ্ধ হন।
পরে মন্টুকে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং শামীমকে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে মহেশপুর থানায় নিয়ে যায়।ঘটনার পর থেকে তরিকুল ও তার লোকজন পলাতক রয়েছেন; তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান ওসি মাহবুবুর।