অর্থনীতি

৫ মন্ত্রীর কড়া হুশিয়ারি-কেউ কারসাজি করলে ছাড়বনা’

 

বিশেষ প্রতিনিধি : কেউ কারসাজি করলে ছাড়বনা বলে সোজা জানিয়ে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তাঁর সঙ্গে একমত হয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের সপ্তাহ পেরোতেই সরকারের অর্থ, বাণিজ্য, খাদ্য, কৃষি, মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের এই বৈঠকে এ ঘোষণা আশার আলো বিরাজ করছে জনমনে।

রোজার মাসে কিছু মহল দাম বাড়িয়ে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, যারা দাম বাড়ানোর চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জরুরি বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরাও বৈঠকে অংশ নেন।

ওই বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী মাহমুদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, রমজান নিয়ে যে চিন্তা… কোনো পন্যের ঘাটতি নেই। আর কিছু মহল চেষ্টা করে সুযোগ নেওয়ার। যেভাবে দাম ধরে রাখা যায় সেই চেষ্টা করবো। প্রয়োজনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দরকার হলে আমদানি করতে হবে।অর্থমন্ত্রী বলেন, শুধু ডলারের উপর নির্ভর করে বসে নাই। মাল্টিকারেন্সির দিকে যাচ্ছি। রিজার্ভ বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।

অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, সমন্বিত বাজার ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হবে। কঠোর মনিটরিং চলবে। বাজারে যে কোনো প্রকার নৈরাজ্য রোধ করতে দেশের সব সংশ্লিষ্ট সংস্থা কাজ করবে। দেশে কোনো ধরনের পণ্যের কোনো ঘাটতি নাই। আমদানির ক্ষেত্রে এলসি খোলার ক্ষেত্রেও কোনো জটিলতা নাই।

গত কিছুদিন চালের দাম বাড়তি। দাম বেশির তালিকায় রয়েছে আলুসহ বেশ কিছু নিত্যপন্য। পাইকারিতে কিছুটা কমলেও খুচরা পর্যায়ে তার প্রভাব টের পাবার আগেই অন্য পণ্য কিনতে বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে । এরকম অবস্থায় নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের সপ্তাহ পেরোতেই সরকারের অর্থ, বাণিজ্য, খাদ্য, কৃষি, মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের এই বৈঠক।

বৈঠকের পর মৎস ও প্রানিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেন, পাঁচ মন্ত্রণালয়ের বৈঠক সরকারের সদিচ্ছার প্রকাশ। দেশের মানুষকে স্বস্তি দিতে চায় সরকার। কী কী পদক্ষেপ নিতে পারি সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া, আর্থিক জরিমানা, ব্যবসায়ীর লাইসেন্স বাতিলের মত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, বাজারে কোনো নিত্যপণ্যের ঘাটতি নেই তবে কিছু মধ্যসত্বভোগীদের কারসাজির কারনে মাঝে মাঝে সমস্যা হয়। সরকার এ বিষয়ে অচিরেই কঠোর পদক্ষেপ নেবে। সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে লাইসেন্স বা ছাড়পত্র বাতিলের মতো পদক্ষেপ নেওয়া হবে। একটু ধৈর্য ধরতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন,গত বছেরের চেয়ে রমজানে প্রয়োজনীয় আটটি পণ্যের ১০-১৫ শতাংশ বেশি এলসি খোলা হয়েছে। ডলার সঙ্কট নেই বলেই গতবারের চেয়ে বেশি পণ্যের এলসি খোলা সম্ভব হয়েছে।

 

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button