জাবি প্রতিনিধি : টাকা পয়াসার লেনদেন নয়, মাদক ব্যবসার অবাধ সুযোগ দিতেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এখানে খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ধর্ষণের ঘটনা হরহামেশা ঘটছে উল্লেখ করে র্যাব জানায়, দায় এড়াতে পারে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ দিকে এ ঘটনার মূল হোতা বহিরাগত মামুন মাদক কারবারের জন্য প্রায়ই বিশ্ববিদ্যালয় হলে অবস্থান করত।
আলোচিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হলরুমের একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে তার স্ত্রীকে গণধর্ষণের মূল পরিকল্পনাকারী মামুনুর রশিদ ওরফে মামুনকে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকা থেকে এবং ধর্ষণের অন্যতম সহায়তাকারী মো. মুরাদকে নওগাঁ থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, ৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০ টা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশারফ হোসেন হলের সিসি টিভির ফুটেজে দেখা যায়, ভুক্তভোগী নারীর সাথে কথা বলছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। কিছুটা উদ্বিগ্ন দেখা যাচ্ছে ভুক্তভোগী নারীকে। ঠিক ১৫ মিনিট পরেই হলের বাইরের আরেকটি সিসি টিভির ফুটেজে দেখা যায় ভুক্তভোগীর স্বামীর সাথে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তি করছে অভিযুক্তরা।
সারা দেশে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ভেতরে ধর্ষণের ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলে তৎপরতা বাড়ি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর। বুধবার রাতে রাজধানীর ফার্মগেট ও নওগাঁ থেকে ধর্ষণের ঘটনার মূল হোতা মামুনুর রশিদ মামুন ও সহায়তাকারী মুরাদকে গ্রেফতার করে র্যাব। ব্রিফিং এ র্যাব জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় কাছে দীর্ঘদিন ধরে একই ফ্ল্যাটে ভুক্তভোগীর সাথে বসবাস করত মূল হোতা মামুন। এরই মাধ্যমে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী জাহিদের সাথে মাদক বিক্রির সখ্যতা দক্ষতা গড়ে ওঠে মামুনের।
ব্রিফিং এ র্যাব আরো জানায়, ধর্ষণ মামলার এক নম্বর আসামি ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মুস্তাফিজের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে মাদক কারবারিসহ নানা অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকতো চক্রের মূল হোতা।শুধু এই ঘটনা নয়, ক্যাম্পাসের ভেতরে নির্জন এলাকায় প্রায়ই ধর্ষণসহ নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেও লোক লজ্জার ভয়ে অভিযোগ করেন না অনেকে বলে জানায় র্যাব৷