আন্তর্জাতিক

‘ব্রিং অ্যাসাঞ্জ হোম’- যথেষ্ট হয়েছে: অস্ট্রেলিয় প্রধানমন্ত্রী

 

 

অস্ট্রেলিয়ার আইনসভায় জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের দেশে ফেরাকে সমর্থন করে প্রস্তাব-

 

আন্তজার্তিক ডেস্ক : উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সরকারের দীর্ঘদিন ধরে চলমান আইনী প্রক্রিয়ার বিষয়ে ‘যথেষ্ট হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনী আলবানিজ। আগামী সপ্তাহে নিজের হস্তান্তরের বিরুদ্ধে অ্যাসাঞ্জের করা আপিলের রায় ঘোষণা করা হবে। খবর আল জাজিরার। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) অস্ট্রেলিয়ার আইনসভায় জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের দেশে ফেরাকে সমর্থন করে এক প্রস্তাবে আলবানিজ বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সকল নাগরিক মনে করে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে নিয়ে যথেষ্ট হয়েছে।এই বিষয়টি আর চলতে পারে না।

আগামী ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তরের বিষয়ে তার করা আপিলের রায় দেবে লন্ডন হাইকোর্ট। লন্ডনের উচ্চ নিরাপত্তার বেলমার্শ কারাগারে গত পাঁচ বছর ধরে বন্দী রয়েছেন অ্যাসাঞ্জ। ২০১০ সালে গোপন সামরিক তথ্য এবং কূটনৈতিক দলিল প্রকাশ করার দায়ে যুক্তরাষ্ট্র তাকে দাগী আসামী হিসেবে চিহ্নিত করে।

অ্যাসাঞ্জের সুইডেনে হস্তান্তর ঠেকাতে সাত বছর লন্ডনে অবস্থিত ইকুয়েডরের দূতাবাসে কাটানোর পর তাকে গ্রেপ্তার করে লন্ডন পুলিশ। সুইডেনে তার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আনা হয়েছিল, যা পরবর্তীতে প্রত্যাহার করা হয়।

লন্ডন থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক সোনিয়া গালেগো জানান, অ্যাসাঞ্জের সমর্থকরা মনে করেন তাকে বাকি জীবন কারাগারেই কাটাতে হবে। লন্ডন হাইকোর্টের রায় হচ্ছে অ্যাসাঞ্জের জন্য মুক্তিলাভের সর্বশেষ সুযোগ।

অ্যাসাঞ্জের আইনী উপদেষ্টা জেফরি রবার্টসন বলেন, অ্যাসাঞ্জ যথেষ্ট কষ্ট করেছে। তিনি যেসব তথ্য প্রকাশ করেছেন সেগুলো ৩০ লাখ মার্কিন কর্মকর্তা জানতেন, এবং তার প্রকাশিত তথ্যে আমেরিকা কর্তৃক সংঘটিত অপরাধগুলোই প্রমাণিত হয়েছে। এর বিনিময়ে কষ্টভোগ ছাড়া আর কিছুই অ্যাসাঞ্জের ভাগ্যে জোটেনি।

রবার্টসনের মতে, অস্ট্রেলিয়ার আইনসভার প্রস্তাবনা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সচেতন হওয়ার বার্তা বহন করে। লন্ডন হাইকোর্টের রায়ের পরেও অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা চলমান থাকার সম্ভাবনা রয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত তাকে ইউরোপিয়ান মানবাধিকার আদালতে অন্তর্বর্তীকালীন রায়ের জন্য আবেদন করতে হতে পারে।

 

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button