ব্যাংক ঋণের টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে:বিএফআইইউ
একবার যদি টাকা পাচার হয়ে বিদেশে চলে যায়, তাহলে তা কিন্তু ফিরিয়ে আনা খুব কঠিন,’ বলেন বিএফআইইউ প্রধান।তবে তদন্তের স্বার্থে অর্থপাচারকারীদের নাম বলতে চাননি মাসুদ বিশ্বাস।
বিশেষ প্রতিনিধি : আগের বছরের তুলনায় দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে গত অর্থবছরে সন্দেহজনক লেনদেন ৬৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বা বিএফআইইউ। সংস্থাটি বলছে, আর্থিক খাতের সন্দেহজনক লেনদেন সবচেয়ে বেশি হয়েছে ব্যাংকের মাধ্যমে। আর ব্যাংক ঋণ নিয়ে বিদেশে অর্থপাচারের ঘটনা থেমে নেই। তবে একবার বিদেশে পাচার হয়ে গেলে সেই অর্থ নানা জটিলতায় অর্থ ফিরিয়ে প্রায় অসম্ভব বলেও মনে করছে বিএফআইইউ।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেছেন বিএফআইইউয়ের প্রধান মাসুদ বিশ্বাস।তিনি বলেন, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশের ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে তিন কোটি ৮৬ লাখ ৮০ হাজারটি লেনদেন হয়েছে। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ ২২ লক্ষ ৮৬ হাজার ২০০ কোটি।
আর এরমধ্যে ১৪ হাজার ১০৬টি সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে বলে জানান মাসুদ বিশ্বাস। বলেন, গতবছর সন্দেহজনক লেনদেন তার আগের তুলনায় বেড়েছে ৬৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেশি। অনলাইন জুয়া, বেটিং, ক্রিপ্টো ট্রেডিং, ডিজিটাল হুন্ডিসহ অনলাইনভিত্তিক প্ল্যাটফর্মে প্রতারণামূলক কার্যক্রমের দৌরাত্ম্যের কারণে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে বেড়েছে বলেও জানান বিএফআইইউ প্রধান।
তবে এসব সন্দেহজনক লেনদেনের বিরুদ্ধে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে এ বিষয়ে মাসুদ বিশ্বাস বলেন, আমরা কিন্তু কোনো কেস করি না। আমরা রিপোর্ট করে সংশ্লিষ্ট দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাকে দেই।তিনি জানান, গত অর্থবছরে দুদক, পুলিশ, বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআরসহ অন্যান্য সংস্থার কাছে এক হাজার ৭৫টি অভিযোগ জমা দিয়েছে বিএফআইইউ, এর মধ্যে এক হাজার ৭১টির নিষ্পত্তি সম্ভব হয়েছে।
এদিকে ঋণ নিয়ে ও ব্যাংকের মাধ্যমে বাণিজ্যের আড়ালে অর্থপাচারের ঘটনা ঘটেই চলেছে বলে জানান আর্থিক গোয়েন্দা প্রধান। বলেন, টাকা একবার পাচার হলে তা ফেরত আনা প্রায় অসম্ভব।আমদানির খবরে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দামআমদানির খবরে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম‘মানিলন্ডারিং হলো আন্তঃদেশীয় (ট্রান্সন্যাশনাল) অপরাধ। এখানে বহু পক্ষ, বহু দেশ জড়িত থাকে।
একবার যদি টাকা পাচার হয়ে বিদেশে চলে যায়, তাহলে তা কিন্তু ফিরিয়ে আনা খুব কঠিন,’ বলেন বিএফআইইউ প্রধান।তবে তদন্তের স্বার্থে অর্থপাচারকারীদের নাম বলতে চাননি মাসুদ বিশ্বাস। বলেন, প্রভাবশালীদের অর্থপাচারের বিষয়গুলো অনেক সময় আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়।