বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধে অর্থনীতি কিছুটা চাপে আছে:অর্থমন্ত্রী
বিশেষ প্রতিনিধি : অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, বিদেশি ঋণ পরিশোধের প্রেসার তো কিছুটা আছে। বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধে দেশের অর্থনীতি কিছুটা চাপে আছে। তবে খুব যে বেশি প্রেসার বিষয়টা ওই রকম নয়। ঋণ পরিশোধের জন্য আমরা কি মরে গেছি?
বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে ‘অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ’ (ইআরডি) কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর বাংলাদেশে নিযুক্ত চীফ অব মিশন আব্দুস সাত্তার এসয়েড ও ইফাদ-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ইআরডি সূত্রে জানা যায়, বৈদেশিক ঋণের বিপরীতে সুদ পরিশোধে সরকারের খরচ চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে ১৩৬ দশমিক ৭০ শতাংশ বেড়ে ৫৬ কোটি ২০ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এর আগে গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সুদ পরিশোধের পরিমাণ ছিল ২৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
জানা যায়, তহবিলের মূল অর্থ পরিশোধ ঋণের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর শুরু হয়। এর মেয়াদ সাধারণত ২০ বছর থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত থাকে। তবে ঋণ বিতরণের পর সুদ পরিশোধ শুরু হয়ে যায়। তাই, বাংলাদেশের জন্য সুদের খরচ বাড়ছে। ঢাকা মেট্রোরেল, মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো মেগা প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন শেষ পর্যায়ে থাকায় সম্প্রতি এগুলোর অর্থ বরাদ্দ বেড়েছে। এ ছাড়াও, করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব থেকে অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তার জন্য উন্নয়ন অংশীদাররা দ্রুত ঋণ দেয়ায় সরকার গত তিন বছরে উল্লেখযোগ্য বাজেট সহায়তা পেয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে অর্থনীতিতে নানামুখী চাপ আছে, সেসব নিয়েই চলতে হচ্ছে। পরিস্থিতির উন্নয়নে কাজও করা হচ্ছে। ডলার সংকট ছিল, কিন্তু এতে সবকিছু আটকে নেই। এলসিও খোলা হচ্ছে।মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ে কিছুটা অস্বস্তি আছে। একটা কমে, আবার আরেকটা বাড়ে। কী করবো, জোর করে ধরে নামাবো? তবে দেশের মানুষ তো না খেয়ে মারা যাচ্ছে না। একটু ধৈর্য ধরেন, সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, ইফাদ হালদা নদীতে রেণু পোনার উন্নয়নে ২০০ কোটি ডলার ছাড় করেছে। এমন কাজ সামনে আরও করবো। আইওএম বৈদেশিক মাইগ্রেন্ট নিয়ে কাজ করে। প্রবাসীদের আনা-নেয়ার কাজ করে তারা। সামনে এ ধরনের সহায়তা তারা অব্যাহত রাখবে।