কোর্ট রিপোর্টার : চিত্রনায়িকা পরীমনি ওরফে শামসুন্নাহার স্মৃতির বিরুদ্ধে করা মাদক মামলা বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দিয়েছে হাইকোর্ট। এর ফলে পরীমনির বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতে মামলা চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় দেয়।আদালতে পরীমনির পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না ও শাহ মনজুরুল হক।পরীমনির বাসা থেকে এলএসডিসহ নানা ধরনের মাদক জব্দ করা হয়েছিল, পাওয়া যায় অ্যালকোহলও। তবে অ্যালকোহল সেবনের লাইসেন্স ছিল এই চিত্রনায়িকার।
বৃহস্পতিবারের রায়ে বলা হয়েছে, এলএসডিসহ জব্দ অন্য মাদকের বিচার চলবে। আর অ্যালকোহল সম্পর্কে মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়ে উল্লেখ করা হবে।আদালত জানায়, তার ঘর থেকেই এই মাদক উদ্ধার করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। এ বিষয়ে পরীমনির আইনজীবী বলেন, ‘মামলা বাতিল প্রশ্নে জারিকৃত রুল পর্যবেক্ষণ সহকারে নিষ্পত্তি করে এ রায় দিয়েছে উচ্চ আদালত। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হলে বিস্তারিত বোঝা যাবে।’
২০২১ সালের ৪ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বনানীর ১২ নম্বর সড়কে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় আনা মামলায় কারাবরণ করে জামিনে মুক্তি পান এই নায়িকা। মামলায় অপর দুই আসামি হলেন-পরীমনির সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দিপু ও মো. কবীর হাওলাদার।
একই বছরের ৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা পরীমনিসহ তিনজনের নামে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার জিআর শাখায় চার্জশিট জমা দেন। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়।
২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক নজরুল ইসলাম তিনজনের অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন। পরে মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন করেন পরীমনি। গত বছরের ১ মার্চ আবেদনের শুনানি নিয়ে মামলা কেন বাতিল করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট। পাশাপাশি মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেয় উচ্চ আদালত।