ফের ভিকারুননিসায় যৌন হয়রানি:বিক্ষোভ
স্টাফ রিপোর্টার : ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে। আজ রোববার ২৫ ফেব্রুয়ারি কলেজের আজিমপুর ক্যাম্পাসের ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকেরা।
আজ বেলা ১১টা থেকে রাজধানীর আজিমপুর ক্যাম্পাসের মূল ফটকে অবস্থান নেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। এ সময় তাঁরা ওই শিক্ষকের শাস্তি চেয়ে নানা স্লোগান দেন। তাঁদের হাতে ‘বাবার মুখোশে পিশাচ নিপাত যাক’, ‘নিরাপদ স্কুল চাই’, ‘নিপীড়কের ঠিকানা, ক্লাসরুমে হবে না’ প্রভৃতি লেখা প্ল্যাকার্ড ছিল।
বিক্ষোভ চলাকালে কয়েক দফায় ছাত্রীদের কাছে যান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী ও অন্য শিক্ষকেরা। তাঁরা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়ার কথা উল্লেখ করে সময় চান। তবে শিক্ষার্থীরা তা মানেনি। তারা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ বলে স্লোগান দিতে থাকে। এভাবে দীর্ঘক্ষণ তাদের বিক্ষোভ চলে।
বিক্ষোভরত একাধিক অভিভাবক ও শিক্ষার্থী দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে বলেন, কোচিং সেন্টার খুলে শিক্ষার্থীদের পড়ান অভিযুক্ত ওই জ্যেষ্ঠ শিক্ষক। ভালো সম্পর্ক তৈরি করে ওই কোচিংয়েই ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করে আসছিলেন তিনি। তাঁর এসব কর্মকাণ্ডের ভুক্তভোগী অনেক ছাত্রী। এখন কথা বলার সুযোগ তৈরি হওয়ায় সবাই ক্ষোভ দেখাচ্ছে।
পরে বেলা সোয়া তিনটার দিকে আবার শিক্ষার্থীদের কাছে যান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, অন্য শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির এক সদস্য। পরিচালনা কমিটির ওই সদস্য শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘আমরা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি। সে জন্য আগামীকাল সোমবার রাত আটটায় পরিচালনা কমিটির জরুরি সভা ডাকা হয়েছে। সে পর্যন্ত আমাদের সময় দিন। সবাই বাসায় চলে যান।
ঘটনা সম্পর্কে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে বলেন, আমি সব সময় ন্যায়ের সঙ্গে ছিলাম ও থাকব। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার একটি প্রক্রিয়া আছে। তার জন্য সময় লাগে। আমি নিজেও একজন অভিভাবক। আমি তোমাদের দাবির ব্যাপারে আশ্বস্ত করছি। এরপর কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্যে আশ্বস্ত হয়ে সাড়ে তিনটার দিকে বিক্ষোভ শেষ করে ছাত্রীরা ফিরে যায়।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করা হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। গত বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দেয়। এরপর গতকাল শনিবার ওই শিক্ষককে প্রত্যাহার করে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়।