কেএনএফ সন্ত্রাসীদের নির্মূল করেন:জিএম কাদের
স্টাফ রিপোর্টার : পার্বত্য অঞ্চলে কেএনএফ সন্ত্রাসীদের নির্মূলে সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। শনিবার দুপুরে এক বিবৃতিতে জি এম কাদের বলেন, মানুষের নিরাপত্তায় সরকারের ব্যর্থতায় হতাশা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি এ ঘটনার কারণ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।
বিবৃতিতে বিরোধীদলীয় নেতা আরও বলেন, জনগণের নিরাপত্তা রক্ষা অত্যন্ত জরুরি। এসময় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সন্ত্রাসী হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। বিবৃতিতে জি এম কাদের বলেন, ‘কেএনএফ পার্বত্য অঞ্চলে আতঙ্ক তৈরি করেছে। তাদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। পর্যটনশিল্পেও এর প্রভাব পড়ছে।’
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে তারাবি নামাজের সময় বান্দরবানের রুমা শাখা সোনালী ব্যাংক ও আশপাশের এলাকা ঘিরে ফেলে শতাধিক সশস্ত্র দুর্বৃত্ত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মসজিদ থেকে ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে ধরে নিয়ে ব্যাংকের ভেতরে মারধর করে তারা। পরে তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এ সময় ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ১০ পুলিশ ও ৪ আনসার সদস্যকে নিরস্ত্র করে ৮টি চাইনিজ অটোমেটিক রাইফেল, ২টি এসএমজি, ৪টি শটগান ও ৪১৫ রাউন্ড গুলি ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ সময় ২ পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনার ১৬ ঘণ্টা পর থানচিতে আরও দুটি ব্যাংকে ডাকাতি হয়।বৃহস্পতিবার রাতে অপহৃত সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিনকে রুমা বাজার থেকে উদ্ধার করে র্যাব। এর পরপরই থানচি থানা থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনেন স্থানীয়রা। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই গোলাগুলি চলে।
স্থানীয়রা বলছেন, থানচি থানার পাশে প্রথম গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। পরে তা থানচি বাজারের কাছে চলে আসে। এ সময় সশস্ত্র গোষ্ঠী কেএনএফের সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের গুলিবিনিময় হয়। পুলিশ জানিয়েছে, থানায় হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে তারা প্রায় ৫০০ রাউন্ড গুলি ছুঁড়েছে। এর রেশ কাটতে না কাটতেই মধ্যরাতে আলীকদমের ২৬ মাইল ডিম পাহাড় এলাকায় যৌথবাহিনীর চেক পোস্টে হামলা হয়।