নেতার বেলেল্লাপনা-
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : একেই বলে নেতার বেলেল্লাপনা। এই নেতার নাম কিম। তিনি উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা। তার পুরো নাম কিম জং উন।এই নেতার বেলেল্লাপনার জন্যে রয়েছে বিশেষ স্কোয়াড। সরকারি অর্থে এই নেতা বেলেল্লাপনা করেন।তার যৌন বিনোদনের জন্য রয়েছে বিশেষ প্লেজার স্কোয়াড। প্রতি বছর এ স্কোয়াডের জন্য বেছে নেওয়া হয় সুন্দরী ও কুমারী ২৫ জন তরুণীকে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য মিররের এক প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে এমন তথ্য। আর এসব তথ্য দিয়েছেন দেশটি থেকে পালিয়ে আসা তরুণী ইয়োনমি পার্ক।
স্বৈরশাসনের দেশ উত্তর কোরিয়া। প্রতি বছর উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতার জন্য বাছাই করা হয় কয়েক ডজন কুমারী নারী। ঠিক কীভাবে এসব সুন্দরী নারীদের বাছাই করা হয়।কিম জং উনের প্লেজার স্কোয়াডের জন্য সাধারণত কুমারী নারীদের বাছাই করা হয়।এ ক্ষেত্রে চূড়ান্তভাবে নির্বাচনের জন্য বাছাইকৃত নারীদের সৌন্দর্য্য, পারিবারিক অবস্থান ও রাজনৈতিক আনুগত্য দেখা হয়। ইয়োনমি পার্ক জানান, তাকে প্লেজার স্কোয়াডের জন্য দুইবার বাছাই করা হয়েছিল, তবে পারিবারিক অবস্থা নিচু হওয়ায় তাকে শেষ পর্যন্ত নির্বাচিত করা হয়নি।
সর্বোচ্চ নেতার যৌন বিনোদনের জন্য তরুণী নির্বাচনে সেনারা প্রতিটি ক্লাসরুমে এমনকি স্কুলের মাঠেও খোঁজ চালায়। এরপর তারা সুন্দরী তরুণীদের বাছাই করে তাদের পারিবারিক ও রাজনৈতিক আনুগত্যের বর্তমান অবস্থা যাচাই করে। এ সময় যেসব পরিবারের সদস্যদের কেউ উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে গেছে অথবা যেসব পরিবারের কোনো আত্মীয় দক্ষিণ কোরিয়া কিংবা অন্য কোনো দেশে বসবাস করে তাদের বাদ দেওয়া হয়।
এভাবে বাছাই করার পর বাছাইকৃত তরুণীদের কুমারীত্ব পরীক্ষা করার জন্য মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়। এ পর্যায়ে যারা উত্তীর্ণ হয় তাদের আরও কঠোর মেডিকেল পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়, যেখানে এসব তরুণীর শারীরিক ত্রুটি, শরীরের কোথায় দাগ বা ক্ষতচিহ্ন এবং যৌনরোগ পরীক্ষা করা হয়। এসব ধাপ উত্তীর্ণ হলে তাদের চূড়ান্তভাবে প্লেজার স্কোয়াডের জন্য নির্বাচন করা হয়।
কঠোর পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলে অল্প কয়েকজন তরুণী খুঁজে পাওয়া যায় যাদের পরে পিয়ংইয়ংয়ে পাঠানো হয়। একবার নির্বাচিত হলে এই তরুণীদের একমাত্র উদ্দেশ্য স্বৈরশাসককে যৌনতৃপ্তি দেওয়া। উত্তর কোরিয়ার প্রয়াত নেতা কিম জং-ইল বিশ্বাস করতেন যে, তরুণীদের সঙ্গে যৌন মিলন তাকে অমরত্ব দেবে, যদিও তিনি ৭০ বছর বয়সে ২০১১ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্লেজার স্কোয়াডের মেয়েদের তিনটি দলে ভাগ করা হয়। একটি দল বডি ম্যাসেজের জন্য এবং অন্যটি গান ও নাচের জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে থাকে। তৃতীয় গোষ্ঠীকে স্বৈরশাসক এবং অন্যান্য পুরুষদের সঙ্গে যৌন ঘনিষ্ঠ হতে হয়। সবচেয়ে আকর্ষণীয় মেয়েদের রাখা হয় স্বৈরশাসকের জন্য। বাকিদের তার অধীনস্ত জেনারেল ও রাজনীতিবিদদের মনোরঞ্জন করতে হয়। স্কোয়াডের সদস্যদের বয়স ২০ বছরের মাঝামাঝি হয়ে গেলে তাদের বাদ দেওয়া হয়। তখন তাদের মধ্যে কেউ কেউ নেতাদের দেহরক্ষীদের বিয়ে করে ফেলে।