রাজনীতি

সেনাবাহিনী এখন জনগণের আস্থা অর্জন করেছে:প্রধানমন্ত্রী

 

বিশেষ প্রতিনিধি :  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের সেনাবাহিনী এখন জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে। রোববার সকালে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আয়োজিত দরবারে প্রদত্ত ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা সেনানিবাসে নবনির্মিত আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব

প্যাথলজি (এএফআইপি) ভবন ও সেনা প্রাঙ্গণ (আর্মি সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম) ভবন উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের আগস্টের পর সাধারণ মানুষ সেনাবাহিনীর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিল। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডে কয়েকজন বিপথগামী সেনা সদস্যের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সেনাবাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নিয়েছি।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আমাদের সেনাবাহিনী সম্পর্কে জনগণের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাস সৃষ্টির চেষ্টা করেছি, যা (তাদের নিজ দেশের) স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার করতে দেশের সেনাবাহিনীর জন্য অত্যন্ত অপরিহার্য। যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সেনাবাহিনী জনগণের পাশে থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতি ১৯৭৪-এর আলোকে ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করেছে। এখন আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে সুসজ্জিত করে গড়ে তোলার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জনে যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলা। আমরা সে অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি।প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিশ্বে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত। এখন সরকারের লক্ষ্য সশস্ত্র বাহিনীর ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করা। সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় মিলনায়তন প্রাঙ্গণে একটি গাছের চারা রোপণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button