৮ বিভাগের খবর

চট্টগ্রামে কালবৈশাখী-নাকাল নগরবাসী

চট্টগ্রাম থেকে বিশেষ প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম : চট্টগ্রামের আকাশে সোমবার (৬ মে) দুপুর থেকে মেঘের ঘনঘটা, তুমুল বৃষ্টি, কালবৈশাখী ঝড়ে নগরবাসীর নাকাল অবস্থায় গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে কালবৈশাখীর তান্ডবে বিভিন্ন সড়ক মহাসড়ক গলির রাস্তা এবং বাগানবাড়িতে গাছ উড়পে পড়েছে।

বিকেল ৩টার দিকে শুরু হয় বাতাস। সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে বাতাসের গতিবেগ। সঙ্গে বিদ্যুৎ চমকানো ও বজ্রপাত। হঠাৎ কালবৈশাখীর তাণ্ডবে মানুষ খুঁজতে থাকেন নিরাপদ আশ্রয়।বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নগরের এনায়েত বাজার এলাকায় দেখা যায়, দুপুরেই যেন সন্ধ্যার আঁধার নেমে এসেছে। বাতাসের তীব্র বেগের কারণে সড়কে যানচলাচল একেবারেই কমে যায়। রিকশা থেকে দ্রুত নেমে লোকজনকে আশপাশের ভবনে আশ্রয় নিতে দেখা যায়। ফুটপাতের দোকানিরাও আশ্রয় নেন পার্শ্ববর্তী ভবনে।

কালবৈশাখী ও বৃষ্টিতে আগ্রাবাদ এলাকায় আটকে পড়ে ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে বলেন, বেশ কয়েক দিনের তাপপ্রবাহের কারণে বৃষ্টিতে স্বস্তি নেমে এসেছিল।কিন্তু সমস্যা সৃষ্ঠি হয় কালবৈশাখীর কারণে। বিভিন্ন সড়ক বাসার বাগানবাড়িতে বড় বড় গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা নগরীর জলাবদ্ধতার মারাত্মক আকার ধারন করেছে। কয়েক ঘন্টার বৃষ্টিতে নগরীর প্রায় রাস্তা টইটুম্বর। এ অবস্থায় গাড়ি নিয়ে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

সাফায়েত হোসেন নামের এক পথচারী দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে বলেন, আজ সকালেও একটু বৃষ্টি হয়েছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদ উঠে। দুপুর থেকে আকাশে মেঘ জমতে থাকে। ৩টার দিকে আচমকা অন্ধকার নেমে আসে। হঠাৎ তীব্র বাতাস আর বজ্রপাত শুরু হয়। সঙ্গে বৃষ্টিপাতও।

বিকেল ৫টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঝড়োবাতাস বৃষ্ঠি অব্যাহত ছিল। একই সঙ্গে বিদ্যুত চমকানি অব্যাহত রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। আবহাওয়া অফিস বলেছে,
আগামী ২৪ ঘন্টা আরো বৃষ্ঠি ঝড়বে।

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button